আগামী শনিবার সাংসদ অর্জুন সিংহ ও বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। ফাইল চিত্র।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিধায়ক বনাম সাংসদের দ্বন্দ্ব থামার লক্ষণ নেই। শেষমেশ এ বার অর্জুন সিংহ ও সোমনাথ শ্যামের দ্বন্দ্ব মেটাতে আসরে নামছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূল ভবন সূত্রে খবর, আগামী শনিবার যুযুধান দুই শিবিরকে নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সী। তৃণমূল ভবন কিংবা নৈহাটির দলীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হতে পারে। রাজ্য সভাপতি যেখানে চাইবেন, সেখান এই বৈঠক হবে।
বৈঠকে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যারাকপুরের সাংসদ ও জগদ্দলের বিধায়ককে। সাংসদ-বিধায়ক-বক্সী ছাড়াও এই বৈঠকে থাকবেন দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক তৃণমূলের জেলা সভাপতি তাপস রায়। তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ওই বৈঠকে থাকতে পারেন নৈহাটির বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এক সময় পার্থ তৃণমূলের ওই জেলা সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরেই তাঁকে ওই জেলার সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ব্যারাকপুরের রাজনীতির কারবারিদের একাংশের কথায়, অর্জুন-সোমনাথ দ্বন্দ্বে সেচমন্ত্রী রয়েছেন জগদ্দল বিধায়কের পাশে। তাই তাঁকেও ওই বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মে মাসে বিজেপি ছেড়ে অর্জুন সিংহ তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথের সঙ্গে তাঁর বিবাদ চলে আসছে। সম্প্রতি সেই বিবাদ চরমে ওঠে এক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায়। গত ২১ নভেম্বর ভিকি যাদব নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হন ভাটপাড়ায়। বিধায়ক সোমনাথ অভিযোগ করেন খুনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন। সেই সময় দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি তখনকার মতো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দমদম ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক তাপস রায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিবৃতি পাল্টা বিবৃতির লড়াইয়ে ঘোরালোও হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলা তৃণমূল সভাপতি তাপস ব্যারাকপুরের রাজনৈতিক অর্ন্তদ্বন্দ্বে শীর্ষ নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে বলেন। শেষমেষ শনিবার দুই নেতাকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন রাজ্য সভাপতি।
আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই দেশের লোকসভা নির্বাচন। আর ব্যারাকপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারেন বর্তমান সাংসদ অর্জুন। আর দলের বিধায়কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ক্রমাগত অবনতি হতে থাকে, তা হলে ভোটে তার প্রভাব পড়বে। কারণ, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বিজেপিতে যোগদান করেন ভাটপাড়ার তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপির প্রতীকে লড়াই করে জয় পান তিনি। সেই ধরনের কোনও ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছেন না তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই লোকসভা ভোটের কয়েক মাস বাকি থাকতেই পদক্ষেপ করে অর্জুন-সোমনাথের সঙ্গে বৈঠক বসছেন বক্সী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy