মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের জন্য বাছাই তালিকা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পছন্দের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে আচার্য তথা রাজ্যপালকে পাঠাবেন। সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে এই প্রক্রিয়ায় কোনও হস্তক্ষেপ করছে না। কারণ সে ক্ষেত্রে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দেরি হবে বলে আজ বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ জানিয়ে দিল। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ ডিসেম্বর।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপালের বিবাদের নিষ্পত্তি করতে গত ৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বে ‘সার্চ-কাম-সিলেকশন’ কমিটি তৈরি করে দিয়েছিল। শীর্ষ আদালত বলেছিল, এই কমিটি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য তিনটি নাম বাছাই করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে। নামের আদ্যাক্ষরের ভিত্তিতে তালিকায় তিনটি নাম থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী তিন জনের মধ্যে পছন্দের ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করবেন। যাঁকে বেশি পছন্দ, তাঁর নাম প্রথমে থাকবে। কারও নামে আপত্তি থাকলে, তা-ও কারণ-সহ জানাবেন। সেই তালিকা যাবে রাজ্যপাল তথা আচার্যের কাছে।
কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যপাল সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে কিছু সংশোধন চেয়ে আবেদন করেছিলেন। রাজ্যপালের বক্তব্য ছিল, ললিত কমিটিই পছন্দের ক্রম অনুযায়ী তালিকা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠাক। গত ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ তাতে রাজি হলেও আজ রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত এতে আপত্তি তোলেন। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নাম প্রকাশ হয়েছে। যদি মুখ্যমন্ত্রী ও আচার্যের মতভেদ হয়, তা হলে সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি ফেরত আসবেই। বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, রাজ্যপালের আর্জি খারিজ করা হচ্ছে না। পরে প্রয়োজন মতো তা শোনা হবে। আপাতত আগের নির্দেশই বহাল থাকছে। কমিটির সুপারিশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালের মতভেদ হলে তখন সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে। বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া বলেন, এখন হস্তক্ষেপ করতে গোটা বিষয়টি দেরি হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy