প্রতীকী ছবি
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার বিভিন্ন অলিম্পিয়াড এবং মেধা অন্বেষণের পরীক্ষায় সফল পড়ুয়াদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিলেন শিক্ষকেরা। সেই সঙ্গে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে পড়ুয়ার মাধ্যমিকের ফলকে। প্রয়োজনে ফোনে পড়ুয়ার ইন্টারভিউ নেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কলা বিভাগে ভর্তির জন্যও বিভিন্ন সূত্র বাতলেছেন শিক্ষকেরা।
অতিমারির জন্য এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন-সহ ১৪টি বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। তবে কলা বিভাগের অনেক পরীক্ষাই হয়ে গিয়েছিল। যে-সব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলিতে নম্বর দেওয়া হয়েছে পরীক্ষিত বিষয়ে পাওয়া সর্বাধিক নম্বরের ভিত্তিতে। প্রশ্ন উঠছে, এতে মেধা যাচাই হবে কী করে? যাদবপুরে কলা বিভাগের কিছু বিষয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু করোনার জন্য এ বার তা সম্ভব নয়।
এই অবস্থায় শিক্ষক সমিতি জুটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে ভর্তি পদ্ধতি নিয়ে মতামত চেয়েছিল। শিক্ষকেরা মত দিয়েছেন, বিজ্ঞান বিষয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের পাশাপাশি মাধ্যমিকের ভৌতবিজ্ঞান ও গণিতের নম্বরকে বিচার্য ধরা হোক। ভূগোলের ক্ষেত্রে গণিতের সঙ্গে বিচার্য হোক মাধ্যমিকে প্রাপ্ত ভূগোলের নম্বরও। বিভিন্ন অলিম্পিয়াড ও মেধা অন্বেষণের পরীক্ষায় সফলদের বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
কলা বিভাগের বিষয়গুলির ক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রস্তাব, পড়ুয়ার উচ্চ মাধ্যমিকে প্রাপ্ত মোট নম্বরের সঙ্গে যে-বিষয়ে তিনি পড়তে চান, তাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। বিষয়টির পরীক্ষা না-হয়ে থাকলে তার সঙ্গে সংযোগ আছে, এমন বিষয়ের নম্বরকে গুরুত্ব দিতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিকে এ বার অর্থনীতির পরীক্ষা হয়নি। যাদবপুরে অর্থনীতি নিয়ে পড়তে গেলে পড়ুয়ার গণিতে প্রাপ্ত নম্বরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ইংরেজির নম্বরকেও বিচার্যের মধ্যে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মতামত সংবলিত প্রস্তাব জমা পড়েছে। এ বার বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষকে তা জানানো হবে। আগামী সপ্তাহে ভর্তি কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা। শিক্ষক সংগঠন আবুটা ভর্তির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গৌতম মাইতি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে, অনলাইনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি নিতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলকে (যেখানে অপরীক্ষিত বিষয়ের নম্বর দেওয়া হয়েছে পরীক্ষিত বিষয়ের নম্বরের ভিত্তিতে) মেধার ভিত্তি হিসেবে ধরতে বললে সেটা ঠিক হবে না। আর এই নির্দেশ মানতে বাধ্য করানো হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধিকার ভঙ্গ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy