কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল ছবি।
প্রাথমিকের ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পড়ে থাকা শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের বক্তব্য, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ফলে নিয়োগে জটিলতা তৈরি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ২০২০ সালের নিয়োগে ১৬,৫০০ পদে নিয়োগের কথা জানায় রাজ্য সরকার তথা পর্ষদ। কিন্তু পরবর্তী কালে সব পদ পূরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টে শুনানিতে এই তথ্য উঠে আসে যে, ১৬,৫০০-র মধ্যে সেই সময় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। অর্থাৎ, তখন ৩৯২৯ পদে নিয়োগ করা হয়নি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এই শূন্যপদের অধিকার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের। তাই তাঁদেরই নিয়োগ করতে হবে। পরে এই টেটের প্রশ্নভুলের দরুন মামলাকারীদের চাকরি দিতে নির্দেশ দেন তিনি।
পরবর্তীতে প্রশ্ন ভুল নিয়ে প্রচুর মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। গত সেপ্টেম্বরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেন, আবেদনকারীদের মধ্যে যোগ্যতার ভিত্তিতে ৩৯২৯ পদ পূরণ করতে হবে। ১১ নভেম্বর পর্ষদকে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে, কাদের চাকরি দেওয়া হল। সিঙ্গল বেঞ্চে রিপোর্ট দেওয়ার ৩ দিন আগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল পর্ষদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy