Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

নোনার গ্রাসে সেতুর স্তম্ভ, মেরামতি শীঘ্রই

আধিকারিকদের দাবি, সুন্দরবনের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান সেতু।

হোগল ব্রিজ।

হোগল ব্রিজ।

কৌশিক ঘোষ
শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৯ ০৪:৪০
Share: Save:

নোনাজলে ক্ষয়ে যাচ্ছে হোগল সেতুর স্তম্ভ। তাই জরুরি ভিত্তিতে পূর্ত দফতর ওই সেতু মেরামতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই সেতু বাসন্তী ও সোনাখালির যোগসূত্র। পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা ওই সেতু পরীক্ষা করে সম্প্রতি রাজ্য সরকারকে একটি রিপোর্ট দিয়েছেন। তারপরেই টনক নড়ে প্রশাসনের। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই সেতু মেরামতির ব্যাপারে আগে উপদেষ্টা সংস্থা নিয়োগ হবে। তাদের পরামর্শ মেনেই কাজ হবে। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরেই রাজ্য পূর্ত দফতর রাজ্যের বিভিন্ন সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা জানান, দক্ষিণবঙ্গে মাঝেরহাট সেতুর পরে হোগল সেতু মেরামতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নোনাজলে ক্ষয় ধরা সেতুর স্তম্ভগুলি ফের তৈরি করা হতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ জানান।

আধিকারিকদের দাবি, সুন্দরবনের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান সেতু। ’৯০ এর দশকে তৈরি এই সেতু তৈরি হয়। সেতু আচমকা ভেঙে পড়বে না ঠিকই। তবে, নোনাজলে সেতুর কংক্রিটের স্তম্ভ ক্ষয়ে গিয়ে ভবিষ্যতে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা জানাচ্ছেন, হোগল নদীর জল নোনতা। জোয়ারের সময় নদীতে বেশি পরিমাণ জল ঢোকে। তাই জলে নুনও বেশি মেশে। কংক্রিটের থামে ক্রমাগত নোনা জল লেগে ‘রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া’-য় স্তম্ভের ক্ষতি হচ্ছে। সুন্দরবন অঞ্চলের পরিবেশ কর্মী অজন্তা দে বলেন, ‘‘হোগল সেতু যেখানে অবস্থিত সেখানে নোনাজলের পরিমান বেশি। বছর কুড়ি আগেই গবেষকেরা জানান, নদীর জলে নুনের পরিমাণ বাড়বে।’’

প্রশ্ন, সেতু তৈরির সময়ে নোনা জলের বিষয়টি দেখা হয়নি কেন? কর্তৃপক্ষের দাবি, যে সময়ে ওই সেতু তৈরি হয়েছিল তখন নদীতে নোনা জল ঠেকানোর উন্নত প্রযুক্তি ছিল না।

অন্য বিষয়গুলি:

Hogol Bridge Salty Water PWD
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy