—প্রতীকী ছবি।
রাজ্য পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিটে বিস্ফোরণের ঘটনার সময়ের অদলবদল ঘটেছে বলে আদালতে দাবি করল এনআইএ।
পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগর বিস্ফোরণের মামলায় অভিযুক্ত বলাইচরণ মাইতি ও মনোব্রত জানাকে সোমবার বিচার ভবনের এনআইএ বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসার বলেন, “বিস্ফোরণের ঘটনায় বিশেষ ভাবে কিছু ব্যক্তিকে আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের চার্জশিটের সঙ্গে এনআইএ তদন্তের তথ্যের পার্থক্য উঠে এসেছে।” ওই তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, রাত ১০টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয়েছিল বলে এনআইএ-তদন্তে উঠে এসেছে। রাজ্য পুলিশের চার্জশিটে সাড়ে ৮টা নাগাদ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্তকারী অফিসারের দাবি, ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলে তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে এক জনের সঙ্গে রাত ৯টা ৫১ মিনিট নাগাদ বলাই ও মনোব্রতের ফোনে কথা হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেই সংক্রান্ত একাধিক সাক্ষীর বয়ানও রয়েছে। বলাই এবং মনোব্রতের মোবাইল ফোনের কল ডিটেলস থেকে তা জানা গিয়েছে বলে এনআইএ-র তদন্তকারীদের দাবি।
মামলার এ দিনের শুনানিতে আদালতে এনআইএ-র তদন্তকারী অফিসার দাবি করেছেন, “সাড়ে ৮টায় যদি বিস্ফোরণে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হয়, তা হলে ৯টা ৫১ মিনিটে কী ভাবে তিনি অভিযুক্তদের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন, তা জানার জন্য দু’জনকে ফের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।” ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত দু’জনকে এনআইএ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এ দিন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলাই বলেন, “আমরা বিস্ফোরণ সম্পর্কে কিছুই জানি না। ঘটনার সময় একটি রাজনৈতিক মিটিংয়ে ছিলাম। তদন্তে আমরা দোষী প্রমাণিত হলে ফাঁসিতে ঝুলতে রাজি আছি।” দু’জনের অভিযোগ, এনআইএ-র হেফাজতে ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া দেওয়া হচ্ছে না। গরমে ফ্যান বন্ধ রাখা হচ্ছে।
তদন্তকারী অফিসার বলেন, “পাওয়ার কাট হয়েছিল। ওই সময় পুরো অফিস অন্ধকার ছিল। এসপি-ও অন্ধকারে ঘরে ছিলেন। সব ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী দুই অভিযুক্তকে খাবার দেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy