রাজনীতির টানাপড়েনে ‘আটকে’ রয়েছে দুই রাজ্যের দুই শিক্ষামন্ত্রীর সাক্ষাতের সৌজন্যও। কারণ, এক জন সিপিএমের। অন্য জন তৃণমূল কংগ্রেসের। ফলে, কেরলের শিক্ষামন্ত্রী বাসুদেবন শিভনকুট্টির লেখা চিঠির জবাবও দিতে পারছে না রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দফতর। রাজনৈতিক স্তরে সম্মতির জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে ব্রাত্যের মত জানা যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি, ‘মেসেজ’-এর জবাবও আসেনি।
সিটুর সর্বভারতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে যোগ দিতে কলকাতায় আসার কথা কেরলের সাধারণ শিক্ষা ও শ্রম দফতরের মন্ত্রী শিভনকুট্টির। সিটুর কেরল রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্বেও রয়েছেন শিভনকুট্টি। কলকাতা সফরের সময়েই বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর দফতর থেকে এই রকম একটি চিঠি এসেছে। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, দিন তিন-চারের মধ্যেই কেরলের শিক্ষামন্ত্রীর ওই চিঠির জবাব দেওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ তাঁদের কাছে নেই। বিষয়টি মন্ত্রীর নজরে আনা হলেও সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হয়নি। দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বিষয়টি দুই মন্ত্রীর সাক্ষাতের হলেও এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক স্তরেই হবে। অন্তত এই মুহূর্তে তো বটেই।’’
সিপিএম সম্পর্কে তৃণমূলের ‘অ্যালার্জি’ এ রাজ্যের সূত্রেই। সেই সুবাদে কেরলের মন্ত্রীর জন্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর দরজা খুলতে সংশয়ে রয়েছেন আধিকারিকেরা। তাঁদের এক জনের কথায়, ‘‘এই রকম সাক্ষাৎ খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এ সবে প্রশাসনিক বা রাজনৈতিক কোনও সিদ্ধান্ত হয়
না। তবে শিক্ষার মতো বিষয়ে এই রকম মতবিনিময়ে কিছু সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়।’’
সিপিএম-শাসিত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ‘বাধা’ পেরোতে চাইলেও এ রাজ্য তাতে সাড়া দিতে পারছে না। শাসক তৃণমূলের এক নেতার জবাব, ‘‘এ সিদ্ধান্ত হবে শীর্ষ স্তরে। সেখানে যা ঠিক মনে হবে, তা-ই হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy