মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
আগামী ২ জুলাই শুরু হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। আর সেই অধিবেশনে আসতে পারে বিধান পরিষদ বিল। বিধানসভা সূত্রে তেমনটাই খবর মিলেছে। এ বারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তৃতীয় বার ক্ষমতায় এলে বিধান পরিষদ গঠন করা হবে। সরকার গঠনের পর ১৭ মে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিধান পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত পাশ হয়েছে। আর নতুন বিধানসভার প্রথম অধিবশেনেই সেই ব্যাপারে উদ্যোগ শুরু করেছে শাসক পক্ষ। কেন্দ্রীয় আইনসভার যেমন দু'টি কক্ষ রয়েছে, উচ্চকক্ষ তথা রাজ্যসভা এবং নিম্নকক্ষ বা লোকসভা, তেমনই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষের নাম বিধান পরিষদ। বর্তমানে ভারতের ৬টি রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানায় বিধান পরিষদের অস্তিত্ব রয়েছে।
তৃণমূল পরিষদীয় দল অবশ্য বিধান পরিষদ গঠনের বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। ভারতীয় সংবিধানের ১৭১ নম্বর ধারায় রয়েছে, বিধান পরিষদের সদস্য সংখ্যা রাজ্য বিধানসভার সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। আবার তা ৪০-এর কমও থাকবে না। প্রসঙ্গত, এক সময় পশ্চিমবঙ্গেও বিধান পরিষদের অস্তিত্ব ছিল। তবে, বাংলা কংগ্রেস এবং বামেদের যুক্তফ্রণ্ট সরকারের আমলে তার অবলুপ্তি ঘটে। ১৯৬৯ সালের মার্চ মাসে সংসদে পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদ অবলুপ্তি আইন পাস হয়। ১৯৬৯ সালের পয়লা অগস্ট পশ্চিমবঙ্গের বিধান পরিষদ অবলুপ্ত হয়।
রাজ্যসভার মতোই বিধান পরিষদেরও কার্যকাল ৬ বছর এবং প্রতি ২ বছর অন্তর এক তৃতীয়াংশ সদস্যের অবসর নেওয়া বিধেয়। সংসদের উচ্চকক্ষের মতোই অর্থ বিল ছাড়া যে কোনও বিল বিধান পরিষদে আনা যায়। বিধান পরিষদে নির্বাচিত হয়েও রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়া যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেবল রাজ্য সরকার বিধানসভার বিল পাশ করলেই হবে না। লোকসভা ও রাজ্যসভার দু'টি কক্ষেই বিলটিকে অনুমোদন পেতে হবে। তার পর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে, তবেই তা রাজ্যে কার্যকর হবে। তাই এই প্রক্রিয়া কিছুটা হলেও সময়সাপেক্ষ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy