মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুরুলিয়া জেলার একটি কলেজ তাঁদের কুড়মি আন্দোলনের নেতাদের নামে করার দাবি রেখেছেন। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলের কুড়মি সম্প্রদায়ের সমর্থন কি তৃণমূলের অনুকূলে আসবে? বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয় কুড়মি নেতাদের। বৈঠক শেষে কুড়মি নেতাদের বক্তব্য শুনে এমনটাই মত বাংলার রাজনীতির কারবারিদের একাংশের।
বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পূর্বাঞ্চলীয় আদিবাসী কুড়মি সমাজের ৩ নেতা— শুভেন্দু মাহাতো, বিজয় মাহাতো ও সুনীল মাহাতো। এ ছাড়াও জঙ্গলমহলের কয়েকজন বিধায়কও এই বৈঠকে হাজির ছিলেন। ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
বৈঠক শেষে কুড়মি নেতারা জানিয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুরুলিয়া জেলার একটি কলেজ তাঁদের কুড়মি আন্দোলনের নেতাদের নামে করার দাবি রেখেছেন। সঙ্গে তাঁদের দাবি, কুড়মি সম্প্রদায়কে তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তাঁরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের দাবিদাওয়াগুলির প্রতি সহানুভূতিশীল। তাঁদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানিয়েছেন, কুড়মি সম্প্রদায়ের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দু’তিন বার চিঠি দেওয়া হলেও কোনও জবাব আসেনি। তাই রাজ্য সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।
সম্প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের একটি মন্তব্যকে ঘিরে ক্রুদ্ধ কুড়মি সমাজ। এমনকি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বিজেপির জেলা কার্যালয়ও ভাঙচুর করেছে কুড়মি সংগঠন। সেই সময়েই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নবান্নে এসে কুড়মি নেতাদের বৈঠক বাংলার রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোট থেকেই জঙ্গলমহলের আদিবাসী সমাজে প্রভাব বিস্তার করেছে বিজেপি। লোকসভা ভোট তো বটেই, বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ের পরেও সেই সমর্থন বজায় ছিল। কিন্তু বিজেপি নেতা দিলীপের মন্তব্যে কুড়মি সমাজের চটে যাওয়ার ঘটনা বাংলার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy