বন পরিদর্শনে আধিকারিকেরা
চোরাশিকার ঠেকাতে গোয়েন্দা নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য বন দফতর। বনের অন্দরে চোরাশিকার ও অবৈধ কাঠপাচার রুখতে নতুন এই নিয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনিতেই বন্যপ্রাণ শিকার দেশে নিষিদ্ধ। সঙ্গে জঙ্গলে থাকা গাছ কাটার ওপরেও আইনি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও, চোরা শিকার ও অবৈধভাবে কাঠ কাটা ও তা পাচারের ঘটনা ঘটছে। তাই এবার সেই ঘটনার ওপর রাশ টানতে গোয়েন্দা নিয়োগের সিদ্ধান্ত।
বড় বনাঞ্চলে তিনজন, মাঝারি বনে দু’জন ও ছোট বনভূমিতে একজন করে গোয়েন্দা নিয়োগ করা হবে। সুন্দরবন ও উত্তরবঙ্গের বৃহৎ বনাঞ্চলে বেশি সংখ্যায় গোয়েন্দা নিয়োগ করা হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। ২৫ হাজার টাকা বেতনের পাশাপাশি, ওই গোয়েন্দাদের দেওয়া হবে অত্যাধুনি মোবাইল ফোন। যাতে তাঁরা বনের অন্দরে ঘটে চলা অপরাধ বিষয়ে বন দফতরকে সহজেই অবহিত করতে পারেন। মোবাইল ফোন মারফৎ যেমন তথ্য সহজে হাতে আসবে, তেমনই জঙ্গলরে অভ্যন্তরে ঘটে চলা অপরাধের ছবি ও ভিডিও হাতে পেয়ে যাবেন বন দফতরের আধিকারিকরা। বন বিভাগের এই গোয়েন্দাদের সঙ্গে শুধুমাত্র যোগাযোগ রাখবেন বাছাই করা আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, বন দফতরের সঙ্গে কাজ করলেও, বন দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদেরও জানানো হবে না গোয়েন্দাদের পরিচয়।
গোয়েন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ কোড নাম ব্যবহার করা হবে। সেই কোড নামেই তাঁরা বন দফতরকে রিপোর্ট পাঠাবেন। এই কাজের জন্য বন দফতর ওই গোয়েন্দাদের প্রশিক্ষণও দিতে পারেন বলে খবর। নতুন বন গোয়েন্দা নিয়োগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বলেছেন, ‘‘গত ১০ বছরে বনের ভিতরে ঘটে চলা অপরাধের ঘটনা কমলেও, আমরা সেই পরিসংখ্যানকে শূন্যে নিয়ে যেতে চাই। তাই বন্যপ্রাণ শিকার ও অবৈধ কাঠপাচার রুখতে গোয়েন্দা নিয়োগ করা হচ্ছে। তবে বন দফতরের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে গোপনীয়তা রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই এ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কিছু বলব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy