বিজেপি-র উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
ইসলামপুর আদালতে হাজির করানো হল বিজেপি-র উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীকে। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ তাঁকে ইসলামপুরের আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে এক দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে এ দিন শঙ্করবাবু জানান, তিনি অসুস্থ। তাই বিচারক তাঁকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে।
এ দিন সকালে পুলিশকে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলেন শঙ্করবাবু। এর পরেই তাঁকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কয়েক ঘণ্টা সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তার পর দুপুরের দিকে তাঁকে হাসপাতাল থেকে সরাসরি ইসলামপুরের আদালতে হাজির করানো হয়।
অন্য দিকে, দলের জেলা সভাপতিকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে এ দিন দুপুরে ইসলামপুরে একটি মিছিল বার করে বিজেপি। ওই মিছিলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকার-সহ জেলা বিজেপির কর্মী এবং সমর্থকেরা। শঙ্করবাবুকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদের পাশাপাশি বিজেপি ওই মিছিল থেকে দাড়িভিট-কাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিও তোলা হয়। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই মিছিল পুরনো বাসস্ট্যান্ড থেকে গোটা শহরে ঘুরে বেড়ায়। ইসলামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসের সামনে ধর্নাতেও বসেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
আরও পড়ুন
আদিবাসী অবরোধে স্তব্ধ দক্ষিণ-পূর্ব রেল, অবরোধ চলবে আগামিকালও
শঙ্কর চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে ইসলামপুরে বিজেপি-র মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
পাশাপাশি, ইসলামপুরে দুই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে এ দিন কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন ওই আদালতেরই দুই আইনজীবী দ্যূতিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নীতীশ মাজি। তাঁরা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করার আবেদন জানান। সিবিআই বা কোনও তদন্তকারী সংস্থার নাম না করলেও তাঁরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান। প্রয়োজনে আদালত যাতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়, সেই দাবিও জানিয়েছেন। ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা গ্রহণ করেছে। তবে, শুনানির দিন এখনও ধার্য হয়নি।
আরও পড়ুন
‘মা পক্ষাঘাতগ্রস্ত, একটা চাকরি পেয়েছিলাম, কিন্তু আর ভাবতে পারছি না’
রবিবার দাড়িভিট-কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে একটি পথসভায় শঙ্করবাবু পুলিশের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন। তাঁর নিদান ছিল, পুলিশকে গাছে বেঁধে রাখতে হবে। বাঁশ-বটির সাহায্যে আক্রমণ করতে হবে। পুলিশের ছেলেমেয়েরা অসুস্থ হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলেও জল দেওয়া যাবে না। পুলিশের কথা বলতে গিয়ে তিনি কুকুরের প্রসঙ্গও টেনে এনেছিলেন। এর পরেই তাঁকে করণদিঘি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy