অমিত শাহ-শুভেন্দু অধিকারীর সভায় উপচে পড়া ভিড়। শনিবার মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
বেশ কয়েক দিন ধরেই প্রস্তুতি চলছিল। শনিবারের দুপুরে মেদিনীপুর কলেজ কলেজিয়েট মাঠে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহের সভায় ভিড়ও হল বিস্তর। অন্তত ৪৫ হাজার লোক হয়েছিল। গত ৭ ডিসেম্বর, সোমবার ওই মাঠেই সভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে দিনও মাঠ উপচানো ভিড় হয়েছিল।
এ দিন শাহ যখন মঞ্চে ওঠেন তখন পিছনে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীরা। হাত ধরে শুভেন্দুকে মঞ্চে আনেন দিলীপ। ভিড়ের বহর দেখে দৃশ্যতই খুশি শাহ সমাবেশের ছবি দিয়ে টুইট করে লেখেন, ‘মেদিনীপুরের সমাবেশের এই ছবিগুলির দিকে লক্ষ্য করুন। ছবিটা একেবারে পরিষ্কার বোঝাচ্ছে যে বাংলা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, এ বার বাংলায় বিজেপি সরকার আসছে।’
জানা যাচ্ছে, মেদিনীপুরের তিন জেলা থেকেই ছোট-বড় গাড়িতে লোক এসেছিলেন সভায়। সকলেরই আকর্ষণ ছিল, শুভেন্দুর দলবদল। একেবারের শেষবেলায় শাহের বক্তব্য চলাকালীন অনেককে উঠে চলে যেতেও দেখা যায়। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, ‘‘ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেকে লোক এনেছে বিজেপি। তাও মাঠের অনেকটা খালি ছিল।’’
এ দিন কর্ণগড়ের বালিজুড়ির কৃষক সনাতন সিংহের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই সাদামাটা বাড়ির মাটির দেওয়ালের দেওয়া হয়েছিল আলপনা। লেখা হয়েছিল ‘স্বাগতম’। বাড়ির সামনে পাতা খাটিয়ায় খানিকক্ষণ বসেন শাহ। পরে মেঝেতে বসে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। পাতে ছিল সাদা ভাত, মুগডাল, রুটি, বেগুনভাজা, পটলভাজা, উচ্ছেভাজা, শাকভাজা, শুক্তো, টকদই, চাটনি, মিষ্টি। সনাতনের বাবা ঝুনু সিংহও কৃষক। তাঁদের নিয়ে পরে শাহের টুইট, ‘‘বালিজুড়ি গ্রামে ঝুনু সিংহ এবং সনাতন সিংহের গৃহে সুস্বাদু মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা ছিল। তাঁদের পরিবারের গভীর ভালবাসা, স্নেহ আর উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত। এত সুন্দর আতিথেয়তার জন্য তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।’
শনিবার মেদিনীপুরে পৌঁছে শাহ শুরুতে যান হবিবপুরে ক্ষুদিরাম বসুর মাসির বাড়িতে। সেখানে ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মাল্যদান করে তাঁর বংশধর গোপাল বসু, হরিপদ বসু প্রমুখের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর তিনি যান সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে। হবিবপুর থেকে তাঁর কনভয় রওনা হয় শালবনির কর্ণগড়ের মা মহামায়ার মন্দিরে। সেখান থেকে আসেন বালিজুড়িতে, কৃষক সনাতনদের বাড়িতে। সনাতন পরে বলেন, ‘‘রান্না ওঁর খুব পছন্দ হয়েছে। জানতে চেয়েছিলেন কে করেছেন। আমি ওঁকে জানিয়েছি, আমার মা এবং স্ত্রী মিলেই রান্না করেছেন।’’
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছে ঝুনুর পরিবার। দেখে খুশি হন শাহ। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির অবশ্য দাবি, ‘‘ওই বাড়িটা বাংলা আবাস যোজনার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy