ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে বিকল্প ভাবনায় সিপিএম। ফাইল চিত্র
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে চাইছেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আর তাই ওই উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি রাখছে বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম।
রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন হবে।সংযুক্ত মোর্চার আসন বন্টনের সমঝোতা অনুযায়ীশান্তিপুর ও ভবানীপুরে প্রার্থী দেওয়ার কথা কংগ্রেসের। শামসেরগঞ্জ আসনে আবার প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস। যেহেতু প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ওই আসনে ভোট হয়নি, তাই এখনও দু’পক্ষই এই আসনটি ছাড়তে নারাজ। আর ভবানীপুরে প্রার্থী না দিতে চাইলেও, উপনির্বাচনে শান্তিপুর ও শামসেরগঞ্জে কংগ্রেস প্রার্থীদের দাঁড় করানোর পক্ষপাতী অধীর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির ইচ্ছের কথা জানার পরেই ভবানীপুর ও শামসেরগঞ্জ নিয়ে আলোচনায় বসতে চেয়েছিল আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিট। কিন্তু এমন কোনও আলোচনা কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে করা সম্ভব হয়নি।
তাই বহরমপুরের সাংসদের ইচ্ছের কথা জানতে পেরেই বিকল্প ভাবনায় রয়েছে রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলে কংগ্রেস নেতৃত্বের কাছে ভবানীপুর নিয়ে তাঁদের অবস্থান জানতে পারে আলিমুদ্দনি ষ্ট্রিট। সেক্ষেত্রে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার কথা জানালে, প্রার্থী দেবে বামফ্রন্টের বড় শরিক।
এক্ষেত্রে সিপিএমের ব্যাখ্যা, উপনির্বাচনের ফলাফল পূর্বনির্ধারিত থাকলেও বিজেপি-কে জায়গা ছাড়া যাবে না। প্রার্থী না দিলে বিরোধী রাজনৈতিক পরিসর বিজেপি-কে ছাড়া ভুল হবে। তাই কোনও অবস্থাতেই গেরুয়া শিবিরকে জমি ছাড়তে নারাজ সিপিএম। সিপিএমের এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, ‘‘বিজেপি বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল হয়েছে বলে তাঁকে রাজনৈতিক জমি ছেড়ে দেওয়া যায় না। তাই কংগ্রেস ভবানীপুরে কংগ্রেস প্রার্থী না দিলে দল যথা সময়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে দল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy