সোমবার শাহজাহানের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত। —ফাইল ছবি।
দলীয় তহবিলে টাকা জমা দিয়েছেন শেখ শাহজাহান। সোমবার আদালতে এমনই তথ্য জানাল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের টাকা দলীয় তহবিলে গিয়েছে। অন্য দিকে, সন্দেশখালির ঘটনায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শাহজাহানের ভাই-সহ পাঁচ জনের খোঁজ চলছে বলে জানায় ইডি। তারা জানায়, তদন্তে আরও পাঁচ জনের নাম উঠে এসেছে। তাঁদের খোঁজা শুরু হয়েছে। সোমবার শাহজাহানের জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত। কলকাতার নগর দায়রা আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেনি। বিচারক জানান, আপাতত তাঁকে জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে জমি কেড়ে নেওয়া এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ রয়েছে। সোমবার শাহজাহান ছাড়াও তাঁর সঙ্গী হিসাবে পরিচিত শিবপ্রসাদ হাজরা ও দিদারবক্স মোল্লাকেও আদালতে হাজির করানো হয়।
গত ২৭ মে আদালতে শাহজাহানদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আর্থিক প্রতারণার মামলায় মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এবং শিবপ্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ২০১৮-’২৩ সাল পর্যন্ত দলীয় তহবিলে তাঁরা প্রচুর টাকা দিয়েছেন। টাকার উৎস হিসাবে ইডির বক্তব্য, শাহজাহানের আরও পাঁচ ঘনিষ্ঠের খোঁজ চলছে। তাঁদের মধ্যে জর্জ কুট্টি, রাবেয়া বিবি মোল্লা, প্রতাপ বিশ্বাস, জয়া সাউরা নানা সময়ে শাহজাহানের কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন। এ ছাড়া শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে আদালতে জানায় ইডি।ইডির দাবি, ২০১৮-২৩ সালের মধ্যে শাহাজাহনের এক সংস্থার মোট লাভের পরিমাণ দাঁড়ায় চার কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। এমনকি, ওই সংস্থার প্রায় ১৯৮ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও তথ্য উঠে এসেছে। শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে জমি দখল নিয়ে ইডি জানায়, জেলিয়াখালিতে ভেড়ি তৈরির নামে ৯০০ বিঘা জমি দখল করেছিলেন শিবপ্রসাদ।
অসত্য অভিযোগ তুলে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে জামিনের আবেদন করেন শাহজাহান। ঘনিষ্ঠমহলেও তাঁর দাবি, তাঁকে ভোট পর্যন্ত আটকে রাখার কৌশল ছিল। দিল্লির নির্দেশেই গ্রেফতার করা হয়। প্রাক্তন তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ওই সব তথ্য তিনি ইডির কাছ থেকেই জানতে পেরেছেন। সোমবার আদালত চত্বরে এক ঘনিষ্ঠের কাছে শাহজাহান বলেন, “আমার বিরুদ্ধে কিছুই নেই সবাই জানেন। লোকসভা ভোটে এই ফল হওয়ারই কথা ছিল। ভোটে বসিরহাটের মানুষ জবাব দিয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy