কলকাতার পুরভোটে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় কংগ্রেসের হাত প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন মৌমিতা মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
পুরভোটে প্রধানত ইস্যু হয়ে থাকে জল, রাস্তাঘাট, নিকাশি সমস্যার মতো বিষয়গুলি। কিন্তু এ বার কলকাতা পুর নির্বাচনে এমন একজন কংগ্রেস প্রার্থীও রয়েছেন যিনি জয়ী হলে বিভিন্ন ভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এই অভিযোগ উঠছে ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে জাতীয় কংগ্রেসপ্রার্থী মৌমিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
ভোট তথা রাজনীতিতে এই তাঁর প্রথম প্রয়াস। নিজেকে সমাজকর্মী বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন মৌমিতা। পুরভোটে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে তাঁর আশ্বাস, জয়ী হলে, কলকাতা পুরসভায় চাকরির ব্যবস্থা করবেন তিনি।বলছেন, কলকাতার ফুটপাথে হকারি ও ব্যবসায় বাংলার ভূমিপুত্রদের ১০০ শতাংশ সংরক্ষণ আনবেন।
দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী খোঁজ করতে করতেই ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৌমিতার সন্ধান পান কংগ্রেস নেতারা। করোনা অতিমারির সময় গরিব মানুষদের জন্য কমিউনিটি কিচেন চালানো থেকে শুরু করে মোদী সরকারের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে তাঁর সক্রিয়তার কথা জেনেই মৌমিতার কাছে কংগ্রেসে যোগদানের প্রস্তাব যায়। পাশাপাশি, প্রস্তাব দেওয়া হয় পুরভোটে দাঁড়ানোর।রাজি হয়ে যান মৌমিতা। অভিযোগ, সেই ভোটের প্রচারে নেমেই কর্মসংস্থান নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। নিজের প্রচারে এমন কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতির কথা প্রসঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থী বলছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে তথা কলকাতায় যুব সমাজের হাতে কাজ নেই। তাঁরা কাজের সন্ধান করছেন। রাজনৈতিক দলগুলিকেই তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তাই আমি জয়ী হলে কীভাবে এবং কোথায় কর্মসংস্থানের করে দেব, সে কথাই আমি প্রচারে তুলে ধরছি।’’
তবে তাঁর এমন প্রতিশ্রুতির সঙ্গে একমত নন দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘মৌসুমী রাজনীতিতে নতুন এসেছেন। উনি যে বিষয়গুলির কথা বলছেন, তা কোনও পুরভোটের প্রার্থীর পক্ষে দেওয়া সমীচিন নয়। দ্রুতই ওঁকে প্রচার সংক্রান্ত বিষয়ে সংশোধন আনতে বলব। উনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা ঠিক নয়। কারণ পুরসভায় চাকরি দেওয়া বা সংরক্ষণের কাজ কাউন্সিলরের হতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy