Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
salkia

Child Trafficking: হাওড়া হোম-কাণ্ডে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাই কোর্ট

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের জানতে চান, এই ধরনের ঘটনায় কী পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন।

কলকাতা হাই কোর্ট।

কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২২ ২০:২০
Share: Save:

সালকিয়া হোম-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট। শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন ও পাচার-কাণ্ডে রাজ্য কী কী পদক্ষেপ করেছে তা জানতে চাইল প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। অন্য দিকে, এই মামলায় রাজ্য পুলিশের উপর অনাস্থা জানিয়ে জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার ওই ঘটনায় উচ্চ আদালতে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান।

গত বছর নভেম্বর মাসে হাওড়ার সালকিয়ায় শিশুদের যৌন নির্যাতন ও পাচারের অভিযোগ ওঠে একটি বেসরকারি হোমের বিরুদ্ধে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই হোমটির মালিক হাওড়ার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মিনতি অধিকারীর বউমা গীতশ্রী। ওই ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে গীতশ্রী ও তাঁর স্বামীও ছিলেন। এই ঘটনায় প্রভাবশালী যোগ থাকায় তদন্ত গতি হারাবে, এই আশঙ্কা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রমাপ্রসাদ। আদালতে তাঁর যুক্তি, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী ব্যক্তি। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁরা ক্ষমতার ব্যবহার করে আসছেন। তা ছাড়া রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গেও তাঁদের সম্পর্ক রয়েছে। ফলে এই ঘটনায় পুলিশের কাছ থেকে নিরপেক্ষ তদন্তের আশা করা যায় না! তাই তদন্ত ভার দেওয়া হোক সিবিআই-কে।

মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি কেসাং ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের কাছে জানতে চান, এই ধরনের ঘটনায় কী পদক্ষেপ করেছে পুলিশ-প্রশাসন। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, এই সব ঘটনায় নিয়ে পুলিশ খুবই তৎপর। অভিযোগ পাওয়ার পরই তারা ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। কিছু সময় পেলে ওই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য আদালতে জানাতে পারবেন তিনি। তার পরই ওই ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করে হাই কোর্ট। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিনের মধ্যেই রাজ্যকে বিস্তারিত তথ্য আদালতকে দিতে হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE