—ফাইল চিত্র।
বিধানসভার অধিবেশনে দলের সমস্ত বিধায়ককে উপস্থিত থাকতে বলল তৃণমূল। আসন্ন বিধানসভা অধিবেশন থেকেই বিধায়কদের হাজিরার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করতে চলেছে তারা। চলতি সপ্তাহের শেষেই বসছে রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশন। তার আগে তৃণমূলের বিজ়নেস অ্যাডভাইসরির বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে দল এতটাই কড়া হতে চলেছে যে, বিধায়কদের হাজিরার খাতা নিয়ে চালু করা হয়েছে নতুন নিয়ম। ঠিক হয়েছে, এখন থেকে মুখ্য সচেতক ও পরিষদীয় মন্ত্রীর ঘরে থাকবে হাজিরা খাতা। সেখানেই বিধানসভায় আসা এবং বিধানসভা থেকে বেরোনোর সময় লিখতে হবে বিধায়কদের।
মঙ্গলবার বৈঠক বসেছিল বিধানসভার স্পিকার তথা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে। সেই বৈঠকের পরই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে স্পিকার জানান, আসন্ন অধিবেশনে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই বৈঠকে।
আগামী ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বর বিধানসভা অধিবেশনের দিন ঠিক হয়েছে আপাতত। তবে অধিবেশন হবে কেবল চার দিন। ২৪ নভেম্বর শুক্রবার। তার পর শনি-রবি ছুটি। সোমবার গুরুপূর্ণিমার ছুটি হওয়ায় অধিবেশন বসবে না। ফলে তার পরে আবার অধিবেশন চলবে ২৮, ২৯ এবং ৩০ নভেম্বর। স্পিকার জানিয়েছেন, এই চার দিনে বিধানসভায় আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতনবৃদ্ধি।
২৮ তারিখ সংবিধান দিবস উপলক্ষে সংবিধান নিয়েই আলোচনা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে স্পিকার জানান, সে দিন সংবিধান নিয়ে আলোচনার জন্য দু’ঘণ্টা সময় রাখা হয়েছে। ২৯ তারিখ বিধায়কদের বেতনবৃদ্ধি নিয়ে বিল পেশ করা হবে বিধানসভায়। তা নিয়েও আলোচনা হবে। ৩০ নভেম্বর মন্ত্রীদের বেতনবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে। তবে ৩০ তারিখের পরও বিধানসভার অধিবেশন চলবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে আগামী বুধবার অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর। বিজ়নেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন স্পিকার।
বুধবারের সাংবাদিক বৈঠকে আরও কয়েকটি বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন স্পিকার। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল বিজেপির বৈঠকে যোগ না দেওয়া প্রসঙ্গে। স্পিকার বলেন, ‘‘যাদের আসার আসবেন। না এলে আসবেন না। পাবলিক অ্যাকাউন্স কমিটির চেয়ারম্যানের কারণে না এলে কী করব! বিধানসভার রেকর্ড তো বলছে ওই কমিটির চেয়ারম্যান বিজেপিরই সদস্য।
সম্প্রতি রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বিধানসভার কোনও বিল তাঁর কাছে আটকে নেই। এ প্রসঙ্গেও স্পিকারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘আমরা অফিসিয়ালি জানিয়েছি ২২টি বিল রাজ্যপালের কাছে পড়ে রয়েছে। আমার কাছে অফিসিয়াল কমিউনিকেশন নেই। রাজ্যপালের উচিত বিধানসভাকে জানানো। মনে হয় ওঁকে ভুল বোঝানো হয়েছে। ডিপার্টমেন্ট হয়তো সেই ভাবে বলছে না। তা না হলে, মনে হয় না রাজ্যপাল অত খারাপ মানুষ। রাজ্যপাল চাইলে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। আমরা আলোচনা করব।”
শেষে স্পিকারের কাছে জানতে চাওয়া হয় বিধানসভার একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকির উপস্থিতি নিয়ে তিনি কিছু বলতে চান কি না? শুনে স্পিকার সাফ বলে দেন, ‘‘ওই নামে কোনও পার্টি বিধানসভায় নেই। যিনি রয়েছেন, ওই পার্টির নাম মজলিস পার্টি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy