মিছিলে পা মেলান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার প্রমুখ। ছবি: পিটিআই।
পৌষের শীতে কলকাতায় ফিরে এল আশ্বিনের মেজাজ। সম্প্রতি ইউনেস্কোর আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় কলকাতার দুর্গাপুজো জায়গা পেয়েছে । সেই উপলক্ষে বুধবার কলকাতার পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে আয়োজিত হয় এক পদযাত্রা। সেই পদযাত্রার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘গর্বের বার্তা... হোক পদযাত্রা’। তাতে অংশ নেন শহরের সমস্ত পুজো কমিটির কর্মকর্তা থেকে সেই সব পুজোয় কাজ করা শিল্পীরা। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় এই স্বীকৃতি মেলার পর দুর্গোৎসব অন্য আঙ্গিকে পৌঁছবে বলেই দাবি করছেন শহরের পুজো উদ্যোক্তারা। মিছিলে পা মেলান মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার প্রমুখ।
ডোরিনা ক্রসিংয়ে পদযাত্রার শেষে এক অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। পাশাপাশি, ধর্মতলায় ক্রেন দিয়ে তোলা ইউনেস্কোর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপনের তোরণ। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের কর্মকর্তা শাশ্বত বসু বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এই স্বীকৃতি গর্বের। ১৫ তারিখ যখন প্রথম জানতে পারি ইউনেস্কো দুর্গাপুজোকে এমন স্বীকৃতি দিয়েছে, তখন চোখে জল এসে গিয়েছিল। গত ১০ বছর আমাদের পুজোর উত্তরণ ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কার্নিভাল সেই উত্তরণকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে। আর এই স্বীকৃতি নতুন দিশা খুলে দিল।’’প্রবীণ শিল্পী রূপক বসু বলেন,‘‘আমরা করোনা সংক্রমণের ধাক্কায় যে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে তার প্রভাব পড়েছিল আমাদের শারদোৎসবেও। ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি যেন সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার বার্তা দিল।’’
ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতির পদযাত্রায় পুজো উদ্যোক্তা ও শিল্পীদের উৎসাহ দিতে এসেছিলেন গায়ক সৈকত মিত্র। তিনি বলেন, ‘‘বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে যুক্ত দুর্গাপুজো। সেই পুজো আজ বিশ্বের দরবারে জায়গা করে নিয়েছে। তাই সেই উৎসবের স্বীকৃতি উদযাপনে শামিল হতেই আমার এখানে আসা।’’ হিন্দুস্তান ক্লাব পুজো কমিটির সভাপতি তথা কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে সদ্য জয়ী ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌরভ বসু বলেন, ‘‘দুর্গাপুজো এখন আর শুধু উৎসব নয়। এই উৎসব মানুষকে কর্মসংস্থান দেওয়ার একটি বৃহৎ জায়গা। তাই ইউনেস্কোর স্বীকৃতি সেই পরিসরকে আরও বাড়ল। আমরা সেই স্বীকৃতির জন্য ইউনেস্কোকে আজ আমরা ধন্যবাদ জানালাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy