৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মানিক ভট্টাচার্যকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফাইল চিত্র।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর থেকেই কার্যত ভেঙে পড়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। তদন্ত যত এগিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে ততই একের পর এক অভিযোগ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই মামলায় নাম জড়িয়েছে মানিকের স্ত্রী ও পুত্রেরও। এমন প্রেক্ষাপটে শনিবার মানিকের গলায় শোনা গেল আক্ষেপের সুর। বললেন, ‘‘আমার জীবনে আর কিছুই নেই। কলঙ্কিত লাগছে।’’
শনিবার এই দুর্নীতি মামলায় মানিককে নগর দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সূত্রের খবর, আদালতকক্ষ থেকে বার হওয়ার পর ঘনিষ্ঠ মহলে ওই কথা বলেছেন মানিক।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে নাম রয়েছে মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য এবং পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের। ঘটনাচক্রে, শনিবারই মানিকের স্ত্রী ও পুত্র আদালতে হাজিরা দেন। তাঁরা জামিনের আবেদন করেন। তবে সেই আবেদনের বিরোধিতা করেছে ইডি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। এই প্রেক্ষাপটে মানিকের এ হেন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে নিয়োগ দুর্নীতির মামলার চার্জশিটে স্ত্রী এবং পুত্রের নাম আছে, তা জানার পর কার্যত কেঁদেই ফেলেছিলেন মানিক। সে বার আদালতে শুনানি শেষের পর বেরিয়ে মানিক বলেছিলেন, ‘‘আমাকে মেরে ফেলো, কিন্তু আমার স্ত্রী আর ছেলেকে জড়িয়ো না।’’
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল মানিককে। তার পর তদন্তে মানিকের বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। মানিকের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ করা হয়েছে, এক মৃত ব্যক্তির সঙ্গে ব্যাঙ্কে যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে মানিক-পত্নীর। সেই অ্যাকাউন্টে ৩ কোটি টাকা রয়েছে বলে দাবি করেছে ইডি। অন্য দিকে, রাজ্যে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে মানিক-পুত্র শৌভিকের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy