চাকরির নথি খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেয়ে হাই কোর্টে ফিরেও সুরাহা হল না। প্রাথমিকে চাকরি যাওয়া ১৪৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৪৩ জনেরই চাকরি নাকচের সিদ্ধান্ত বহাল রাখল কলকাতা হাই কোর্ট।
প্রাথমিকে নিয়োগে অনিয়মের জন্য যাঁদের চাকরি গিয়েছিল, বুধবার তাঁদের মধ্যেই ১৪৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের আবেদনের শুনানি ছিল হাই কোর্টে। হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে জানিয়ে দেন, এঁদের মধ্যে ১৪৩ জনেরই চাকরি বাতিল করা হবে। এমনকি, অবিলম্বে ওই শিক্ষকদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি।
বাকি ৩ জনের মধ্যে ২ জন শিক্ষকের চাকরি বহাল রেখেছে আদালত। প্রশ্ন ভুলের দরুন তাঁরা অতিরিক্ত নম্বর পেয়েছেন। আর এক জনের ক্ষেত্রে বিচারপতি জানিয়েছেন, তাঁর নথি আরও এক বার খতিয়ে দেখে আবার শুনানি হবে। এর আগে ডিসেম্বর মাসে প্রাথমিকে ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছিল উচ্চ আদালত। বুধবারের নির্দেশের ফলে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ১৯৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাই কোর্ট।
অন্য দিকে, বুধবার আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিজেদের চাকরি বাঁচাতে আদালতে গিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁদের মামলাটি বৃহস্পতিবার শুনবেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গত বছর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি যায়। পরে সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরি হারানো শিক্ষকেরা। কিন্তু শীর্ষ আদালত তাঁদের জানিয়ে দেয়, তাঁদের আবেদন হাই কোর্টেই শোনা হবে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, এ ব্যাপারে, হাই কোর্টেই চাকরির বৈধতার প্রমাণ দিতে হবে এই ২৬৮ জনকে। বৈধতার নথি খতিয়ে দিখে হাই কোর্ট যা সিদ্ধান্ত নেবে, তা-ই মানতে হবে। সে ক্ষেত্রে হাই কোর্ট যদি নথি দেখে মনে করে চাকরি বহাল থাকবে তবে থাকবে চাকরি, না হলে নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy