গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
সিভিক পুলিশ থেকে একটি প্রোমোটিং সংস্থার ডিরেক্টর হয়ে গিয়েছিলেন নিলয় মালিক। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত নিলয়ের সেই প্রোমোটিং সংস্থার আরেক অংশীদার ছিলেন শান্তনুর স্ত্রী। এমনই জানা গিয়েছিল ইডি সূত্রে। কিন্তু গত দেড় বছরে হঠাৎই বদলে যায় দু’জনের সম্পর্কের সমীকরণ। হুগলির তৎকালীন তৃণমূল নেতা (অধুনা বহিষ্কৃত) শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থা থেকে নাম সরে যায় নিলয়ের। বুধবার সেই নিলয় নথিপত্র হাতে হাজির হলেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে।
ইডি সূত্রে খবর, নিলয়কে এর আগে বলাগড়ে শান্তনুর রিসর্টে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তদন্তকারীরা। তবে সে দিন খুব বেশি কথা হয়নি। পরে ইডিই তাঁকে ডেকে পাঠায় সিজিওতে। তলব পেয়েই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়েছেন নিলয়। তাঁর হাতে বেশ কিছু ফাইলও দেখা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থায় ডিরেক্টর থাকাকালীন যে সমস্ত নথি নিলয়ের কাছে ছিল, তা দেখতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই সব নথিই সঙ্গে নিয়ে এসেছেন তিনি।
গত ১৮ মার্চ হুগলির বলাগড়ে শান্তনুর রিসর্টে তল্লাশি চালান ইডির তদন্তকারীরা। শান্তনু-ঘনিষ্ঠ নিলয় এবং বিশ্বরূপ প্রামাণিককে সেখানে ডেকে পাঠান ইডির তদন্তকারীরা। রিসর্টেই তাঁদের শান্তনুর সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে নানা প্রশ্ন করা হয়। ইডি সূত্রের খবর, শান্তনু এক সময় নিলয়ের নামে একটি গাড়ি কিনেছিলেন। সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।
ইডি জানতে পেরেছিল, তাঁদের মধ্যে যথেষ্ট হৃদ্যতা ছিল। সেই সুসম্পর্ক থেকেই শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার প্রোমোটিংয়ের ব্যবসায় অন্যতম অংশীদার হয়েছিলেন নিলয়। তাঁর নামে গাড়ি এমনকি, সম্পত্তিও কিনেছিলেন শান্তনু। যদিও ইডির কাছে নিলয় দাবি করেছেন, শান্তনুর সঙ্গে অতীতে তাঁর সুসম্পর্ক থাকলেও গত দেড় বছর ধরে তিক্ততা তৈরি হয়েছে। কারণ শান্তনুর নিজের একটি ধাবা রয়েছে। নিলয়ও একটি ধাবা খুলেছেন। এই ধাবাকে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, দেড় মাস আগেও সিভিক পুলিশের চাকরিটি ছিল নিলয়ের। তবে তার পর তিনি ওই চাকরি ছেড়ে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy