গরম থেকে বাঁচাতে স্নান করানো হচ্ছে হাতিকে। ছবি: পিটিআই।
গরম কমার সম্ভাবনা আপাতত রাজ্যে নেই। যে সব এলাকায় তাপপ্রবাহ বা তীব্র তাপপ্রবাহ হচ্ছে, সেই সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার রাজ্যের ১১টি এলাকায় তীব্র তাপপ্রবাহ হয়েছে। ওই তালিকায় রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা। দার্জিলিঙেও দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই। সোমবার রাজ্যের মধ্যে সব থেকে বেশি গরমের সাক্ষী থেকেছে কলাইকুন্ডা। সেখানে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
সোমবার দক্ষিণবঙ্গের উলুবেড়িয়া, ডায়মন্ড হারবার, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, ক্যানিং, কলাইকুন্ডা, পানাগড়, আসানসোল, ব্যারাকপুর, সিউড়িতে চলেছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সোমবার সব থেকে বেশি তাপমাত্রা ছিল কলাইকুন্ডায়। তার পরেই রয়েছে পানাগড়। সেখানে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। তার পরেই রয়েছে মেদিনীপুর। সেখানে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাঁকুড়া, সিউড়ির তাপমাত্রাও ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছে।
দক্ষিণের কাঁথি, দিঘা, হলদিয়া, বসিরহাট ছাড়া সব জায়গাতেই সোমবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। বসিরহাটে তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে মাত্র ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। দিঘায় তাপমাত্রা ছিল ৩৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। কাঁথিতে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হলদিয়ায় তাপমাত্রা ছিল ৩৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতায় দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এর আগে ১৯৮০ সালে কলকাতায় এপ্রিলের তাপমাত্রার পারদ এতটা উঠেছিল।
উত্তরবঙ্গের মালদহেও সোমবার চলেছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সেখানে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বালুরঘাটেও দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। দার্জিলিঙে দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। কালিম্পঙে দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গের কোথাওই দিনের তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। এ রকমই গরম থাকবে। দিনের বেলা সর্বনিম্ন আপেক্ষিক আর্দ্রতা ২০-৪০ শতাংশের আশপাশে থাকতে পারে। ৭০ থেকে ৯০ শতাংশের আশপাশে থাকতে পারে সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা। ফলে ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। দক্ষিণের সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস। উত্তরেও তিন জেলাতে চলতে পারে তাপপ্রবাহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy