পাঠান (বাঁ দিকে) এবং মঞ্জরেকর। মাঝে যশস্বী। — ফাইল চিত্র।
শুক্রবার মেলবোর্নে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর যশস্বী জয়সওয়ালের রান আউট নিয়ে বিশ্লেষণ করছিলেন তাঁরা। যশস্বী না বিরাট কোহলি, কার দোষ তা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। সেই সময়ে ঝগড়া লেগে গেল দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠান এবং সঞ্জয় মঞ্জরেকরের। প্রকাশ্যেই পাঠানকে ব্যঙ্গ করলেন মঞ্জরেকর।
টিভিতে বিশ্লেষণ চলাকালীন তর্ক বাধা নতুন কিছু নয়। অতীতে বহু বার হয়েছে। তবে যে ভাবে একটি রান আউটকে কেন্দ্র করে টিভি দেখতে থাকা লক্ষ লক্ষ দর্শকের সামনে দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার ঝগড়া করলেন তা দেখে বিস্মিত অনেকেই।
যশস্বীর রান আউট নিয়ে মঞ্জরেকর বলছিলেন, “উল্টো প্রান্তে কোহলি ছিল। ফলে ওর দিক থেকেই ঘটনাটা আলোচনা করব। স্কুল ছাত্রের মতো ভুল করেছে কোহলি। পিছনে তাকিয়ে রান নেব কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হয়নি। নন-স্ট্রাইকার কখনওই কল করতে পারে না। যে শটটা মেরেছে সেই ব্যাটারই কল করে।”
মঞ্জরেকর আরও বলেন, “যদি যশস্বী ভুল কল দিত তা হলে ওকেই শাস্তি পেতে হত। সে ক্ষেত্রে কামিন্স নন-স্ট্রাইকারের দিকে বল ছুড়ত এবং যশস্বী আউট হত। কিন্তু কোহলি না বলার পর যশস্বীর কাছে ফেরার কোনও সুযোগ ছিল না।”
পাঠান এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে বলেন, “ক্রিকেটে একটা কথা আছে। পয়েন্টের দিকে যদি বল যায় তা হলে নন-স্ট্রাইকারই কল করে। তবে যে শট মেরেছে তার অধিকার রয়েছে সেই কল উপেক্ষা করার।” তখন মঞ্জরেকর বলে ওঠেন, “কিন্তু তুমি পয়েন্টের কথা বলছ। এখানে মিড উইকেটের কথা হচ্ছে।” পাঠান সেই মন্তব্য না শুনে নিজের মতো করে বিশ্লেষণ করে যেতে থাকেন। মঞ্জরেকরও পাঠানের কথার মাঝে কথা বলতে থাকেন। কারও কথাই স্পষ্ট ভাবে শোনা যাচ্ছিল না।
এক সময় মঞ্জরেকর বলেন, “যদি তুমি আমার কথা শুনতে না চাও তা হলে শুনো না।” পাঠানের কথা শেষ হওয়ার পর ব্যঙ্গ করে মঞ্জরেকর বলেন, “আমার মনে হয় নতুন করে কোচিংয়ের একটা বই বেরনো উচিত। সেখানে কী ভাবে উইকেটের মাঝে দৌড়তে হয় তা নিয়ে ইরফান পাঠানের শিক্ষা লেখা থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy