বিজেপি টাকা দিয়ে দল ভাঙিয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠল। অভিযোগের ‘প্রমাণ’ হিসেবে সামনে এসেছে একটি টেলিফোন সংলাপ। সেখানে এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে টাকার অঙ্ক উল্লেখ করে বলছেন, ওই টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের হাত থেকে বেশ কয়েকটি বোর্ড ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব। ওই কথাবার্তায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ‘সব জানেন’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা ওই টেলিফোন সংলাপের সত্যতা যাচাই করেনি। তবে যিনি ফোন করেছেন তাঁর কণ্ঠস্বর ও বাচনভঙ্গি নদিয়া উত্তরের বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকারের সঙ্গে মিলে যায় বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের অনেকেরই অভিমত। একই ভাবে যাঁকে ফোন করা হয়েছে, তাঁর গলা ও কথার ধরন রাজ্য বিজেপির কোষাধ্যক্ষ সাওয়ার ধনানিয়ার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে বলে দলের অনেকেরই মনে হয়েছে।
যদিও তাঁরা দু’জনেই এ কথা অস্বীকার করেছেন। বুধবার মহাদেববাবুর বক্তব্য, ‘‘দলের সকলের সঙ্গেই কথা হয়। সাওয়ারজির সঙ্গেও হয়। কিন্তু এ ধরনের কোনও কথা হয়নি। পুরোটাই অপপ্রচার।’’ কিন্তু কথোপকথনের কণ্ঠস্বর তো তাঁর গলার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে? জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন মহাদেববাবু।
একই প্রশ্নে সাওয়ার ধনানিয়াও বলেন, ‘‘মহাদেববাবুর সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও কথাই হয়নি।’’ দিলীপবাবুর দাবি, এ ধরনের বিষয় তাঁর জানা নেই। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এ সব কত রকম ভুয়ো জিনিস বাজারে ঘুরে বেড়ায়। এ সব আমি শুনিওনি, জানিও না।’’
প্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটাই বিজেপির চরিত্র। টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করছে ওরা। কিন্তু অর্থ দিয়ে জনসমর্থন কেনা যায় না। টাকার বদলে তৃণমূল কর্মীরাও মাথা নত করে না।’’
নদিয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির টানাপড়েনে কিছু জায়গায় বোর্ড গঠন স্থগিত হয়েছে। অভিযোগ, তৃণমূল সদস্যদের দলে টানতে না পারলেও, কিছু জায়গায় জয়ী বিক্ষুব্ধ তৃণমূলদের বিজেপি টানতে পেরেছে। বুধবার পোড়াগাছা পঞ্চায়েত তারা এ ভাবেই দখল করেছে বলে অভিযোগ। কৃষ্ণগঞ্জ এবং শান্তিপুরের আরবান্দি-২ পঞ্চায়েতেও তারা বোর্ড গঠনে নির্দলদের সঙ্গ দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy