প্রতীকী ছবি।
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই স্বাতন্ত্র্য আছে। স্বাধিকার আছে। তাই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোনও রকম অভিন্ন ‘স্ট্যাটিউট’ বা বিধি চাইছে না কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী, বর্ধমান, কল্যাণী, বিদ্যাসাগর, আলিয়া ও বারাসত রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তাদের সম্মিলিত দাবি, প্রতিটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাতন্ত্র্য ও স্বাধিকার রক্ষা করে রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা বিধি তৈরি করা হোক।
দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্ট্যাটিউট নেই। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে উপাচার্যদের সাম্প্রতিক বৈঠকে অভিন্ন বিধির বিষয়টি ওঠে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম বার সরকারে আসার পরে রাজ্যের শিক্ষার আইন পরিবর্তন করা হয়েছিল। ফলে তখন থেকেই রাজ্যের পুরানো বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিধি বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু এখনও নতুন বিধি তৈরি হয়নি। এই অবস্থায় অভিন্ন বিধি তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছিল শিক্ষা দফতর। সুরঞ্জন দাস যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তখন তাঁকে খসড়া বিধি তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেটি তৈরি করে শিক্ষা দফতরে জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বিষয়ে আর কোনও আলোচনা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিধি নিয়ে কী ভাবছে, নতুন শিক্ষামন্ত্রী হয়ে উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে সেই বিষয়ে তাঁদের মতামত জানাতে বলেন ব্রাত্যবাবু। রবিবার ওই আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ই তৈরি হয়েছে নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক প্রেক্ষিতে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতেই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বিধি তৈরি করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে জ্ঞানচর্চার বিকাশ তাদের
স্বাধিকারের সঙ্গে জড়িত। শিক্ষক সমিতিগুলির দাবি, অভিন্ন বিধি এই স্বাধিকারের মূলে আঘাত করবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (কুটা) সভাপতি পার্থিব
বসুর বক্তব্য, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন আলাদা অথচ বিধি এক হলে আইনি বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে। তাই প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন অনুযায়ী পৃথক বিধি তৈরি করা হোক।
অভিন্ন বিধির বিরোধিতা করেছে সারা বাংলা সেভ এডুকেশন কমিটিও। কমিটির পক্ষে তরুণ নস্কর জানান, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, পঠনপাঠন, গবেষণা থেকে শুরু করে পরিচালন পদ্ধতির ভিন্নতা আছে এবং তাকে ভিত্তি করে দীর্ঘ ঐতিহ্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিন্ন বিধি সেই উদ্দেশ্য ও ঐতিহ্য বিনষ্ট করবে এবং তাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাভাবিকতা এবং স্বাধিকার খর্ব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy