ফাইল চিত্র।
একটা কালবৈশাখীর ধাক্কাতেই অনেকটাই কমে গিয়েছে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনেও কালবৈশাখীর পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমবে বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে টানা ৪৫ দিন গরমের ছুটি বাতিল করে অন্তত কয়েক দিনের জন্য স্কুল খুলে দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে আর্জি জানালেন স্কুল শিক্ষকদের একাংশ।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর দাবি, তীব্র গরম পড়ায় লম্বা গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়ার ঘোষণা এই প্রথম নয়। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। দেখা গিয়েছে, লম্বা ছুটি দিয়ে দেওয়ার পরেই শুরু হয়েছে ঝড়বৃষ্টি এবং তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু তার পর আর গরমের ছুটি কমানোর কোনও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়নি। গ্রীষ্মের ছুটি চলেছে টানা এক মাসেরও বেশি। সৌগতবাবু বলেন, “এ বারেও সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এ বার যদি সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করা হয়, তা হলে খুব ভাল হয়। কারণ, এ বার শিক্ষাবর্ষ অনেক দেরি করে শুরু হয়েছে। ফলে পড়ুয়ারা পড়াশোনাতে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় দেড় মাস ছুটি হয়ে গেলে তারা আরও পিছিয়ে পড়বে।”
গরমের ছুটি কমানোর আর্জি জানিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর মতে, এত লম্বা গরমের ছুটি বহু অভিভাবকও চাইছেন না। তাঁদের মতে, প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়ন হওয়ার পরে গরমের ছুটি পড়লে ভাল হত। সে ক্ষেত্রে গরমের ছুটির মধ্যে তারা পরবর্তী পড়াশোনা করতে পারত। কিঙ্করবাবু বলেন, “এত লম্বা ছুটি শিক্ষকদের কাছেও বিড়ম্বনার। অনেককে বলতে শুনছি, শিক্ষকদের চাকরি তো ছুটিরই। করোনার ছুটির পরে এখন ফের দেড় মাস ছুটি। কিন্তু বাস্তব হল, অনেক শিক্ষকই এত লম্বা টানা গরমের ছুটি চাইছেন না। গরম কতটা পড়ে তা দেখে, প্রয়োজন অনুসারে গরমের ছুটি বাড়ানো কমানো হোক।” কিঙ্করবাবুর মতে, শিক্ষা দফতর কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে নিলে ভাল হয়। সাধারণ পড়ুয়ারা কী চাইছে, অভিভাবকেরা কী চাইছেন, তা তারা বলতে পারবেন। কোনও রকম আলোচনা না করে এই সিদ্ধান্ত এক রকম চাপিয়ে দেওয়ার শামিল।
স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর
হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি। তাঁদেরও মতে, টানা ৪৫ দিন গরমের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জোর করে চাপানো হয়েছে। চন্দনবাবুর দাবি, অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা স্কুলের প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, শিক্ষকদের বেতন মাসের প্রথমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে অথচ পড়ানোর সময় শুধুই ছুটি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে নানা স্তরে তাঁদের নানারকম বিদ্রুপের মধ্যেও পড়তে হচ্ছে। চন্দনবাবু বলেন, “অথচ আমরা কিন্তু এই লম্বা গরমের ছুটি চাইছি না। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী তাপপ্রবাহ কম থাকলে স্কুল খোলা হোক। প্রয়োজনে মর্নিং স্কুল করা হোক।” ছুটির এই বিজ্ঞপ্তির বাতিলের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা এবং আগামী ৫ মে কলেজ স্কোয়ারে অবস্হান করা হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা।
তাপপ্রবাহ কম, স্কুল খোলার
দাবিতে শিক্ষকেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা
একটা কালবৈশাখীর ধাক্কাতেই অনেকটাই কমে গিয়েছে তাপমাত্রা। আগামী কয়েকদিনেও কালবৈশাখীর পূর্বাভাস রয়েছে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমবে বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর। এই পরিস্থিতিতে টানা ৪৫ দিন গরমের ছুটি বাতিল করে অন্তত কয়েক দিনের জন্য স্কুল খুলে দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে আর্জি জানালেন স্কুল শিক্ষকদের একাংশ।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর দাবি, তীব্র গরম পড়ায় লম্বা গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়ার ঘোষণা এই প্রথম নয়। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছে। দেখা গিয়েছে, লম্বা ছুটি দিয়ে দেওয়ার পরেই শুরু হয়েছে ঝড়বৃষ্টি এবং তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু তার পর আর গরমের ছুটি কমানোর কোনও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হয়নি। গ্রীষ্মের ছুটি চলেছে টানা এক মাসেরও বেশি। সৌগতবাবু বলেন, “এ বারেও সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু এ বার যদি সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করা হয়, তা হলে খুব ভাল হয়। কারণ, এ বার শিক্ষাবর্ষ অনেক দেরি করে শুরু হয়েছে। ফলে পড়ুয়ারা পড়াশোনাতে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় দেড় মাস ছুটি হয়ে গেলে তারা আরও পিছিয়ে পড়বে।”
গরমের ছুটি কমানোর আর্জি জানিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা দফতরকে চিঠি দিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারীর মতে, এত লম্বা গরমের ছুটি বহু অভিভাবকও চাইছেন না। তাঁদের মতে, প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়ন হওয়ার পরে গরমের ছুটি পড়লে ভাল হত। সে ক্ষেত্রে গরমের ছুটির মধ্যে তারা পরবর্তী পড়াশোনা করতে পারত। কিঙ্করবাবু বলেন, “এত লম্বা ছুটি শিক্ষকদের কাছেও বিড়ম্বনার। অনেককে বলতে শুনছি, শিক্ষকদের চাকরি তো ছুটিরই। করোনার ছুটির পরে এখন ফের দেড় মাস ছুটি। কিন্তু বাস্তব হল, অনেক শিক্ষকই এত লম্বা টানা গরমের ছুটি চাইছেন না। গরম কতটা পড়ে তা দেখে, প্রয়োজন অনুসারে গরমের ছুটি বাড়ানো কমানো হোক।” কিঙ্করবাবুর মতে, শিক্ষা দফতর কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে নিলে ভাল হয়। সাধারণ পড়ুয়ারা কী চাইছে, অভিভাবকেরা কী চাইছেন, তা তারা বলতে পারবেন। কোনও রকম আলোচনা না করে এই সিদ্ধান্ত এক রকম চাপিয়ে দেওয়ার শামিল।
স্কুল খোলার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর
হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি। তাঁদেরও মতে, টানা ৪৫ দিন গরমের ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জোর করে চাপানো হয়েছে। চন্দনবাবুর দাবি, অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা স্কুলের প্রতি বিশ্বাস হারাচ্ছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, শিক্ষকদের বেতন মাসের প্রথমে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে অথচ পড়ানোর সময় শুধুই ছুটি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে নানা স্তরে তাঁদের নানারকম বিদ্রুপের মধ্যেও পড়তে হচ্ছে। চন্দনবাবু বলেন, “অথচ আমরা কিন্তু এই লম্বা গরমের ছুটি চাইছি না। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী তাপপ্রবাহ কম থাকলে স্কুল খোলা হোক। প্রয়োজনে মর্নিং স্কুল করা হোক।” ছুটির এই বিজ্ঞপ্তির বাতিলের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা এবং আগামী ৫ মে কলেজ স্কোয়ারে অবস্হান করা হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy