রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী নিজস্ব চিত্র
অনুগামীদের নিয়ে সল্টলেকের বাসভবনে মুকুল রায়ের বৈঠক ঘিরে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। সদলে তিনি তৃণমূলে ফিরবেন কি না সেই প্রশ্নে জেরবার বিজেপি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুকুলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর পরেই মঙ্গলবার নতুন সুর শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। নেট মাধ্যমে শুভেন্দুবিরোধী স্বর শুনিয়েছেন তিনি। কিন্তু এ সব নিয়ে কোনও মন্তব্য করতেই রাজি নন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলব না।’’
মঙ্গলবার অমিত শাহ ও জে পি নড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পরে বুধবার মোদীর বাসভবনে যান শুভেন্দু। মিনিট ৪৫ সেখানে ছিলেন তিনি। এর পরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেও মোদীর সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে এটুকু জানিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, উন্নয়ন ও অন্যান্য বিষয়ে কথা হয়েছে। তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে না জানিয়ে দিল্লি গেলেও দিলীপের সঙ্গে ‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে’ কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।
মঙ্গলবার রাজীব যা পোস্ট করেছেন তাতে শুভেন্দুর বক্তব্যের বিরোধিতা ছিল স্পষ্ট। ফেসবুক ও টুইটারে ‘সমালোচনা তো অনেক হল...’ শীর্ষক পোস্টে অনেক কথাই লিখেছেন রাজীব। তাতেই একটি অংশ ছিল ‘নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে ৩৫৬ ধারার জুজু না দেখিয়ে কোভিড ও ইয়াস মোকাবিলায় বাংলার মানুষের পাশে থাকা উচিত।’ রাজীবের এই পোস্টের আগে আগেই শাহের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের শেষে শুভেন্দু জানান, বাংলায় ভোট-পরবর্তী হিংসা যেখানে পৌঁছেছে, তা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করার পক্ষে যথেষ্ট। বস্তুত, একধাপ এগিয়ে শুভেন্দু জানিয়েছেন, রাজ্যের যা পরিস্থিতি, তাতে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ না করলেই আশ্চর্য! তিনি বলেন, ‘‘একটা কথা বলতে পারি, ৩৫৬ ধারা যে সব কারণে লাগানো হয়ে থাকে, তার থেকেও খারাপ পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। যে সরকার প্রধানমন্ত্রীকে মানে না। যে সরকারের মুখ্যসচিব প্রধানমন্ত্রীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান, সেই সরকার কোনও সরকার নয়!’’
শুভেন্দুর বক্তব্যের পরে পরেই রাজীবের পোস্ট নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর আলোচনা হয়। কারণ, ভোটের আগে বিজেপি-তে যোগদানের বিষয়ে রাজীবকে পথ দেখিয়েছিলেন শুভেন্দুই। ডোমজুরে পরাজয়ের পরে রাজীব কার্যত বিজেপি-র থেকে অনেকটাই দূরে। তার পরে মঙ্গলবারের পোস্ট। এখনও পর্যন্ত টুইট করে সৌমিত্র খাঁ আক্রমণ করা ছাড়া অস্বস্তিতে থাকা বিজেপি নেতারা কেউই সে ভাবে মুখ খোলেননি। শুভেন্দুও যে অস্বস্তিতে সেটাই তিনি মন্তব্য এড়িয়ে স্পষ্ট করে দিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy