Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
WB Panchayat Election 2023

হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য, কমিশন, ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

বুধবার হাই কোর্ট কমিশনকে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য অন্তত ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার নির্দেশ দেয়। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে কমিশন।

Suvendu Adhikari filed a caveat petition in Supreme Court on Panchayet polls armed forces

শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৩ ০৯:৫২
Share: Save:

কলকাতা হাই কোর্টের কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ন্যূনতম ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারে রাজ্য এবং রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। সে ক্ষেত্রে দেশের শীর্ষ আদালত যাতে একপাক্ষিক ভাবে রাজ্য বা কমিশনের বক্তব্য শুনে কোনও নির্দেশ না দেয়, তার জন্যই ক্যাভিয়েট দাখিল করে রাখলেন শুভেন্দু।

ক্যাভিয়েট দাখিল করার ফলে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠলে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য শুনতে হবে আদালতকে। পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে বুধবার বিরোধীদের মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টে। পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়নি এই অভিযোগে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন বিরোধীরা। বিজেপির তরফে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরী ওরফে ডালু ওই মামলা করেন। যার শুনানির জন্য মামলা ওঠে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি মামলার শুনানির শুরুতেই কমিশনকে বলেন, ‘‘বলতে বাধ্য হচ্ছি, এত কিছুর পরে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হচ্ছে। আপনারা দয়া করে হাই কোর্টের নির্দেশ পালন করুন। চাপ সামলাতে না পারলে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে বলুন, আর পদ ছেড়ে দিন। অন্য কাউকে তিনি ওই পদে বসাবেন। ওই পদের অনেক অনেক গুরুত্ব আছে।’’

বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বিজেপি জানিয়েছিল, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল রাজ্যে। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, “এ বারের পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার জন্যও অন্তত ওই সংখ্যক বা তার বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।’’ কমিশন ২২টি জেলার জন্য যে ২২ কোম্পানি অর্থাৎ ২০০০-এর কিছু কম আধা সেনা মোতায়েনের কথা বলেছে, তা করলে চলবে না। আর এই বাহিনীর জন্য কমিশনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জানাতে হবে কেন্দ্রকে।

গত ১৫ জুন কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে। শুধু তা-ই নয়, ওই নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতেও হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, হাই কোর্টের ওই নির্দেশ সত্ত্বেও বাহিনী আনার জন্য অনুরোধ করে কমিশনের তরফে যোগাযোগ করা হয়নি কেন্দ্রকে। পরে অবশ্য মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানায়, গোটা রাজ্যের ২২টি জেলায় ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে তারা। কমিশনের সেই বক্তব্য ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কারণ গোটা রাজ্যে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর অর্থ মেরেকেটে ২০০০ জওয়ানের উপস্থিতি। বিরোধীদের কথায়, যা থাকা আর না-থাকায় কোনও তফাত নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত হাই কোর্টের নির্দেশ মঙ্গলবার বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE