শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
কয়লা, গরু পাচার নিয়ে যুযুধানের বাগ-যুদ্ধ চলছে। এ বার বন্দরে তোলাবাজির অভিযোগেও ‘ভাইপো’কে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা নিয়ে হলদিয়া বন্দরে যে সাম্প্রতিক জটিলতা তৈরি হয়েছে, সে প্রসঙ্গেই বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আসলে এ সবই ভাইপো লাগিয়ে দিয়েছেন। একটি সংস্থা ভাইপোকে বেশি তোলা দিচ্ছে, তাই তারা জোর দেখাচ্ছে। অন্য সংস্থাটি যদি তোলা বাড়িয়ে দেয়, তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’
পূর্ব মেদিনীপুরের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূলের রাজ্য নেতা কুণাল ঘোষ এ দিন ছিলেন নন্দীগ্রামে। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ‘‘শুভেন্দু আসলে অভিষেক-ফোবিয়ায় ভুগছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন দলের মধ্যে ঠিকাদার-রাজ চলবে না। আর বন্দর কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা। বন্দর কাকে দিয়ে কাজ করাবে, সেখানে তৃণমূল হস্তক্ষেপ করবে না।’’ কুণালের দাবি, ‘‘বিরোধী দলনেতার বিবৃতি থেকে স্পষ্ট, ওঁর স্বার্থে ঘা লেগেছে। তাই উনি ঠিকাদারদের হয়ে ওকালতি করছেন।’’
বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে দু’টি সংস্থার। এর জেরে এক সপ্তাহে দু’দুবার ব্যাহত হয়েছে কাজ। সাময়িক ভাবে তা মেটানো হলেও স্থায়ী সমাধান মেলেনি। বুধবারও ৯ নম্বর বার্থে ম্যাঙ্গানিজ বোঝাই জাহাজের পণ্য খালাস ঘিরে সমস্যা হয়। কাজ বন্ধ ছিল প্রায় ৩৬ ঘণ্টা। শেষে এ দিন বিকেলে পণ্য খালাসের কাজ শুরু হয়।
এই আবহে এ দিন হলদিয়া টাউনশিপে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। বৈঠকে জাতীয়স্তরের নেতা অমিত মালব্য, মনোজ পান্ডের পাশাপাশি বিজেপির জেলার মণ্ডল সভাপতিরাও ছিলেন। আগামী ডিসেম্বরের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। শুভেন্দু পরে বলেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য, বাংলাকে পরিবারবাদ থেকে মুক্ত করা। পিসি-ভাইপো কোম্পানিকে উৎখাত করা।’’ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণালের মতে, ‘‘রাজনৈতিকভাবে না পেরে ব্যক্তি আক্রমণ করছেন শুভেন্দু।’’ প্রশ্ন ওঠে, অধিকারীরা কি পরিবারবাদী নয়?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy