বাম সাংসদ ও আইনজীবী-নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।
কংগ্রেসের সঙ্গে দলের একাংশের বাগ্যুদ্ধে রাশ টানতে চাইছে সিপিএম। রাজ্যের একমাত্র বাম সাংসদ ও আইনজীবী-নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য যে ভাবে সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে কংগ্রেসকে বিঁধে বিবৃতি দিচ্ছেন, তাকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। বিকাশের বক্তব্যকে দলীয় অবস্থান বলে স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে না। দলীয় সূত্রের খবর, দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে সাংসদ বিকাশের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলা হতে পারে।
কংগ্রেসের মধ্যে আরএসএসের লোক আছে বলে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিকাশ। যে কংগ্রেসকে নিয়ে এমন সমস্যা, তাদেরই সমর্থন নিয়ে বিকাশ রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন বলে স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেউ যদি তাঁর সাংসদ-পদে ইস্তফা চায়, সেটা অন্যায় হবে কি? বিকাশ আবার পাল্টা সংবাদমাধ্যমের একাংশ মারফত প্রশ্ন তোলেন, তিনি ইস্তফা দিলে রাজ্যসভায় ওই জায়গায় তো তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি যাবেন! কংগ্রেস কি সেটাই চায়? বাগ্যুদ্ধের এই পর্বে জড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও। তবে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, ‘‘এখন সাধারণ মানুষের স্বার্থে আন্দোলন, সংগ্রাম ধারালো করার সময়। সিপিএম দল হিসেবে পার্টি কংগ্রেসের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। কংগ্রেস নিয়ে কিছু বলার সময় এখন নয়। আন্দোলন, সংগঠন নিয়ে চর্চার মধ্যে রয়েছে দল।’’ বিষয়টি নিয়ে বিবৃতির লড়াই চালানোয় তাঁরা উৎসাহী নন বলেও বুঝিয়ে দিয়েছেন সেলিম।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক এই বার্তা দেওয়ার প্রেক্ষিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর রবিবার কারও নাম না-করেই বলেছেন, ‘‘রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার হাল খারাপ, স্বাস্থ্যে ভয়াবহ কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। আমরা তা নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এই সময়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে যাঁরা নানা মন্তব্য করছেন, তাঁরা আরএসএস-বিজেপি এবং তৃণমূলকেই সাহায্য করছেন।’’ অহেতুক বাগ্যুদ্ধ চালাতে তাঁদের তরফে কোনও প্ররোচনা দেওয়া হয়নি বলেও ব্যাখ্যা করেছেন প্রদেশ সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy