আবার সন্দেশখালি যেতে চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু। — ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিতে শুক্রবার সকাল থেকে আবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে। তার আগেই সন্দেশখালির কয়েকটি জায়গায় নতুন করে ১৪৪ ধারার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। এ হেন পরিস্থিতে আগামী সোমবার আবার সন্দেশখালি যেতে চান বলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে আদালত শুভেন্দুর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে জানিয়েছে, সোমবার যাওয়া যাবে না। বিরোধী দলনেতাকে অন্য কোনও দিন সন্দেশখালি যাওয়ার কথা বলেছে হাই কোর্ট।
শুভেন্দুর সন্দেশখালি যাওয়া নিয়ে কম টানাপড়েন হয়নি। সন্দেশখালি অশান্ত হয়ে ওঠার পরে বার দু’য়েক সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু পুলিশ তাঁকে সন্দেশখালিতে ঢুকতে দেয়নি। শেষ পর্যন্ত হাই কোর্টের নির্দেশে গত মঙ্গলবার সন্দেশখালি যান তিনি। সেখানে দাঁড়িয়েই শুভেন্দু বলে আসেন যে, কয়েক দিনের মধ্যেই আবার আসবেন তিনি।
সেই মতো আগামী সোমবার আবার সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা করেন শুভেন্দু। তবে বৃহস্পতিবার নতুন করে ১৪৪ ধারার জারি করা হয় সন্দেশখালিতে। সোমবার গেলে তাঁকে আটকানো হতে পারে এমন আশঙ্কা করেই শুক্রবার আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে মামলা করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর আবেদন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি ব্লকের জেলিয়াখালি, হালদারপাড়া-সহ আরও কয়েকটি জায়গা যেতে চান। সেখানে পুলিশি নিরাপত্তা-সহ যাওয়ার অনুমতি তাঁকে দেওয়া হোক। আদালত বিরোধী দলনেতার দ্রুত শুনানির আর্জি মঞ্জুর করেনি।
শুক্রবার আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার নতুন করে কয়েকটি জায়গায় আবার ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত যা বহাল থাকবে। ওই সময়সীমা আরও বাড়তে পারে।’’
বিচারপতি কৌশিক চন্দের পর্যবেক্ষণ, ‘‘আগে ১৪৪ ধারার যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল, তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে আবার ১৪৪ ধারা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটা ঠিক কি ভুল, আদালতকে খতিয়ে দেখার সুযোগ দিতে হবে। রাজ্যও তার বক্তব্য জানাবে। নিয়ম অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার নোটিস দিতে হয়। সোমবারের পরিবর্তে অন্য কোনও দিন যান।’’
বিচারপতি আরও মন্তব্য করেন, ‘‘অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিই যাচ্ছেন। আগামী সোমবারই আপনাকে যেতে হবে, এই বক্তব্যের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। সেখানে মঞ্চ বাঁধা নেই যে, আপনাকে গিয়ে বক্তৃতা দিতে হবে। পোস্টারও ছাপানো হয়নি, মঞ্চও বাঁধা হয়নি, দলীয় কর্মীদেরও বলা হয়নি, ব্রিগেড চলো ধরনের ঘোষণাও করা হয়নি। সোমবারই আপনার যাওয়াটা এত জরুরি নয়। অন্য যে কোনও দিন যেতে পারেন।’’ আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। মনে করা হচ্ছে, সে দিনই ঠিক হতে পারে আবার কবে সন্দেশখালি যাবেন শুভেন্দু।
সন্দেশখালিতে প্রবেশ করার জন্য রয়েছে পাঁচটি ঘাট। ধামাখালি ঘাট, সন্দেশখালি ঘাট, ভোলাখালি ঘাট, খুলনা ঘাট এবং জেলেখালি ঘাট— ২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার সকালে সেই পাঁচটি ঘাটেই ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ধামাখালিতে আটকানো হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীদের। আটকানো হয় সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাটকেও। পরে অবশ্য তাঁদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy