সন্দেশখালিতে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
আবার উত্তেজনা ছড়িয়েছে সন্দেশখালির বেড়মজুর এলাকায়। লাঠি-ঝাঁটা হাতে দলে দলে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় মহিলারা। এই পরিস্থিতিতে সন্দেশখালির দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হল। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার।
শুক্রবার সকালেই সন্দেশখালির কাছারি এলাকায় শাহজাহান শেখের এক ‘অনুগামী’র মাছের ভেড়ির আলাঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। বেড়মজুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত এই কাছারি এলাকা। বেড়মজুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় মহিলারা। তাঁদের হাতে লাঠি-ঝাঁটা। দখল হয়ে যাওয়া জমিজমা ফেরতের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি শাহজাহানকে গ্রেফতারেরও দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
এই পরিস্থিতিতে ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা করেছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এখানে প্রশাসনের শিবির বসেছে। জেলাশাসক রয়েছেন। তাঁরা আপনাদের সব অভিযোগ খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু এ ভাবে বিক্ষোভ দেখাতে থাকলে গোটা প্রক্রিয়াটায় দেরি হবে।’’
কিন্তু এর পরেও বিক্ষোভ থামেনি। বেড়মজুরের স্থানীয় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বাড়িতে ঢুকে অজিতকে মারধর করা হয়েছে। ভাঙচুরও চালানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, স্থানীয়দের নামে রেকর্ড থাকা জমি দখল করে নিতেন শাহজাহানের এই অনুগামী।
এ সবের মধ্যে সন্দেশখালিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। ছয় সদস্যের দল বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন। তার মধ্যেই আবার উত্তেজনা ছড়াল সন্দেশখালির কয়েকটি জায়গায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy