নিখোঁজ: নাজিমউদ্দিনের জামা শোঁকানো হচ্ছে পুলিশ কুকুরকে। শুক্রবার। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
বোলপুরে পাঁচ বছরের শিশু শিবম ঠাকুরকে হত্যার রেশ এখনও মেলায়নি। এ বার খাস সিউড়ি শহর থেকে নিখোঁজ আট বছরের শিশু। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে খোঁজ মিলছে না হাটজনবাজার রেল উড়ালপথ সংলগ্ন বস্তি এলাকার বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন মণ্ডলের। পুলিশ তন্নতন্ন করে খুঁজেও ওই শিশুর সন্ধান পায়নি। পুলিশ কুকুর এনে এবং ড্রোনের সাহায্যে তল্লাশি চালিয়েও কোনও সূত্র মেলেনি। ৩৬ ঘণ্টার বেশি কেটে যাওয়ার পরেও তার খোঁজ না-মেলায় চরম উদ্বেগে রয়েছে ওই শিশুর বাবা-মা ও পরিজন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ নাডিমউদ্দিন বাড়ি থেকে শৌচকর্মের জন্য বেরিয়েছিল। সেই সময় তার মায়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। এর পর থেকেই ছেলের দেখা মিলছে না বলে দাবি নাজিমের মা জুলেখা বিবির। সকাল থেকে অনেক খোঁজাখুজির পরে বেলার দিকে সিউড়ি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় পরিবারের তরফে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিউড়ি থানার পুলিশ বাড়ির আশপাশের এলাকায় খোঁজ চালায়। বৃহস্পতিবার রাতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দিয়ে আশপাশের পুকুর, ডোবাতেও তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু, নাজিমউদ্দিনের হদিস মেলেনি।
শুক্রবার সকাল থেকেও সিউড়িতে ওই নাবালকের বাড়ির আশপাশের এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে তল্লাশি চালানো হয়। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশ কুকুর দিয়েও তল্লাশি চলে। পাশাপাশি ড্রোন দিয়েও তল্লাশি চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর তিনটে নাগাদ ওই এলাকায় এসে পৌছায় পুলিশ কুকুর। পুলিশ কুকুর নাজিমউদ্দিনের জামাকাপড়ের গন্ধ নেওয়ার পরে তার বাড়ির পাশ হয়ে সিউড়ি স্টেশন চত্বরে যায়। যা দেখে পুলিশের অনুমান, মায়ের উপরে অভিমান করে স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে নাজিম কোথাও চলে গিয়ে থাকতে পারে। তবে, কেউ তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে কি না, তা-ও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। জুলেখা বিবির দাবি, ‘‘আমার মনে হয়, ছেলেকে কেউ বা কারা নিয়ে চলে গিয়েছে। তা না হলে এতক্ষণে সে বাড়ি ফিরে আসত।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, নাজিমউদ্দিন জুলেখার প্রথম পক্ষের ছেলে। জুলেখার প্রথম পক্ষের স্বামী কাশিমউদ্দিন মণ্ডল নদিয়া জেলার পলাশির বাসিন্দা। বর্তমান স্বামী জসিমউদ্দিন মণ্ডলও আদতে পলাশির বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতেই জুলেখাকে নিয়ে পুলিশের একটি দল নদিয়া রওনা দেয়। সেখানে কসিমউদ্দিনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও নাজিমের খোঁজ মেলেনি। জুলেখা জানান, তাঁর বাড়ি মহম্মদবাজারের শেওড়াকুড়িতে। প্রায় বছর ১২ আগে কাশিমউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বছর পাঁচেক আগে জসিমউদ্দিনের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে তাঁরা সিউড়ির হাটজনবাজার এলাকার বস্তিতে চলে আসেন
জুলেখা বলেন, ‘‘প্রথম পক্ষের তিনটি মেয়ে এবং চারটি ছেলে রয়েছে। সব থেকে ছোট নাজিম। সে আমার কাছে থাকত। বাকিরা প্রথম পক্ষের স্বামীর কাছে থাকে।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলেখার প্রথম পক্ষের স্বামী বছর খানেক আগে একবার সিউড়িতে আসেন। তখন তিনি নাজিমকে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু জুলেখা রাজি হননি। তাই রাতে কাশিমউদ্দিনের বাড়িতে যায় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy