কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টে এক দিনে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে খেলেন তিনটি ‘ধাক্কা’। শুক্রবার দুপুরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তবে শীর্ষ আদালতের ‘ধাক্কা’ সেখানেই থমকে যায়নি। এর পর রাতের মধ্যে বিচারপতির আরও দু’টি নির্দেশে দেওয়া হয় স্থগিতাদেশ।
শুক্রবার নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলাটি সরানো হয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। এটিই ছিল সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে আসা প্রথম ‘ধাক্কা’। এর পর বিচারপতির এজলাসে থাকা পুর নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় ইডি এবং সিবিআই তদন্তের নির্দেশেও এক সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ শোনার পরই দুপুরে এজলাসে বসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও একটি নির্দেশ দেন। শুক্রবার সেটিই ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একমাত্র নির্দেশ। টিভিতে সাক্ষাৎকারের একটি প্রতিলিপি এবং হলফনামা হাই কোর্টের কাছে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে তিনি সেই নথি চেয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জানিয়েছিলেন, তিনি হাই কোর্টে রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন ওই নথি হাতে পাওয়ার জন্য।
সুপ্রিম কোর্ট তাঁর সেই নির্দেশেও স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে রাতেই বসে সুপ্রিম কোর্ট। পরে সাড়ে ৮টা নাগাদ বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি হিমা কোহলীর ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। নির্দেশ শোনার পর রাত সাড়ে ৯টার কিছু পরে কলকাতা হাই কোর্টের নিজের চেম্বার থেকে বেরিয়ে যান বিচারপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy