Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪
State News

অনীত-বিনয়পন্থীদের সঙ্গে মিশে গেল গুরুঙ্গের মিছিল

মঙ্গলবার কার্শিয়াঙের গিদ্দে পাহাড় থেকে মিছিল করেন মোর্চায় বিনয় তামাঙ্গপন্থী হিসেবে পরিচিত অনীত থাপা এবং তাঁর সমর্থকেরা। পথের মাঝেই তাতে যোগ দেন বিমল গুরুঙ্গপন্থীরা। সেই মিছিলেই স্লোগান উঠল, ‘বিমল গুরুঙ্গ জিন্দাবাদ! বিনয় তামাঙ্গ জিন্দাবাদ!’

কার্শিয়াঙের মিছিলে অনীত থাপা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

কার্শিয়াঙের মিছিলে অনীত থাপা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কার্শিয়াং শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৮:৪২
Share: Save:

হাতে মাত্র ৭ দিন। তার আগেই পাহাড়ের মানুষ সাক্ষী থাকল এক অভূতপূর্ব ঘটনার। উত্তরকন্যায় রাজ্য সরকারের ডাকা বৈঠকের আগে আলোচনাপন্থীদের মিছিলে মিশে গেলেন কট্টরপন্থীরা।

মঙ্গলবার কার্শিয়াঙের গিদ্দে পাহাড় থেকে মিছিল করেন মোর্চায় বিনয় তামাঙ্গপন্থী হিসেবে পরিচিত অনীত থাপা এবং তাঁর সমর্থকেরা। পথের মাঝেই তাতে যোগ দেন বিমল গুরুঙ্গপন্থীরা। সেই মিছিলেই স্লোগান উঠল, ‘বিমল গুরুঙ্গ জিন্দাবাদ! বিনয় তামাঙ্গ জিন্দাবাদ!’ যেন জানান দেওয়া— বিমল-বিনয় ভাই-ভাই। মিছিল শেষে কার্শিয়াং স্টেশনে একটি পথসভা করেন অনীত থাপা। সেখানে মোর্চার ভাঙনকে ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দেন তিনি। সেই সঙ্গে অনীত থাপার দাবি, “পাহাড়ে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই জন্য গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে আমরা সরে এসেছি তা বলা হচ্ছে। কিন্তু, এখনও আমরা সে দাবিতে অনড়।” মোর্চা থেকে তাঁর বহিষ্কারের খবরকেও গুজব বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়: “আমি মোর্চাতেই আছি। দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও তো তার একটা নিয়মমাফিক পদ্ধতি থাকে।”

আরও পড়ুন

ডোকলাম যেন আর না ঘটে: একমত মোদী-চিনফিং

বাসে উঠে টিকিট চেক করলেন শুভেন্দু, দেখুন ভিডিও

হাতে আঁকা তিমি, কিশোরী ঝাঁপাল লেকের জলে!

নিজেদের অবস্থান নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিলেও বন্‌ধ তোলা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই গেল। গত ১৫ জুন থেকে পাহাড়ে বন্‌ধ শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তাতে সবচেয়ে অসুবিধায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পাহাড়বাসীদের অসন্তোষ সামালাতেও যেন এ দিন বার্তা দিলেন বিনয় তামাঙ্গপন্থীরা। অনীত থাপা বলেন, “পাহাড়ে বন্‌ধ উঠবে কি না তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE