Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মানচিত্র নেই, ভুগছে সুন্দরবনের হোটেল

উপকূল এলাকা আছে। কিন্তু মানচিত্র নেই। তাই আইনের জটে আটকে সুন্দরবনের বহু হোটেলের ভবিষ্যৎ।সমস্যা না-মিটলে হোটেল থাকবে কী ভাবে, প্রশ্ন তুলেছেন মালিকেরা। তাঁরা বলছেন, হোটেল না-থাকলে পর্যটনের মানচিত্রে সুন্দরবনের টিকে থাকা মুশকিল।

কুন্তক চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৭ ০৩:২৫
Share: Save:

উপকূল এলাকা আছে। কিন্তু মানচিত্র নেই। তাই আইনের জটে আটকে সুন্দরবনের বহু হোটেলের ভবিষ্যৎ।

সমস্যা না-মিটলে হোটেল থাকবে কী ভাবে, প্রশ্ন তুলেছেন মালিকেরা। তাঁরা বলছেন, হোটেল না-থাকলে পর্যটনের মানচিত্রে সুন্দরবনের টিকে থাকা মুশকিল। তার প্রভাব পড়বে বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকাতেও।

সুন্দরবনের হোটেল-মালিক সংগঠন সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা। ২০ জুলাই রাজ্য সরকারকে উপকূলীয় মানচিত্র জমা দিতে বলেছে বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য রঞ্জন চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। সে-দিনই হোটেল নিয়েও শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

মালিক সংগঠনের অভিযোগ, পরিবেশকর্মীদের একাংশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জোরে কিছু হোটেল ঘুরপথে মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। আদালতকে প্রভাবিত করার চেষ্টাও হয়েছে। যদিও আদালত তাতে কান দেয়নি।

সুন্দরবনের দূষণ নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা করেছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। তাতে দূষণ ও উপকূল বিধি ভঙ্গে অভিযুক্ত হয় বহু হোটেল। অনেক হোটেল থেকে বর্জ্য, প্লাস্টিক এবং শব্দদূষণ ছড়ানো হয় বলে বহু বার অভিযোগ উঠেছে। হোটেল-মালিক সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রবীর সিংহরায় বলেন, ‘‘দূষণ ঠেকাতে আমাদের সদস্যেরা জল, বর্জ্য পরিশোধনের বিভিন্ন পদ্ধতি চালু করছেন। অনেক হোটেলে তা ইতিমধ্যে চালুও হয়ে গিয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Sundarban construction stuck
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE