সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
আয়কর হানায় ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব চাইলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার জোট সরকার ক্ষমতায়। সুকান্ত শনিবার সেই কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে বাংলার ‘দুর্নীতি’র সঙ্গেও এক সারিতে বসিয়েছেন।
তৃণমূল অবশ্য নারদ কাণ্ডের কথা উল্লেখ করে বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা হয়েছে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সুকান্ত এ দিন বালুরঘাটে বলেন, “গত ৬ ডিসেম্বর থেকে চলা আয়কর হানায় কংগ্রেস সাংসদ ধীরাজ সাহুর বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার হয়েছে। ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মাথা রাহুল গান্ধী, সনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝাড়খণ্ডে তো বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’র সরকার। সেখানকার কংগ্রেস সাংসদের বাড়ির আলমারিতে থাকে থাকে টাকা সাজানো। এখন উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কী বলবেন?” তাঁর প্রশ্ন, “বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। উনি চোরদের সঙ্গে থাকবেন না বলে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। এখন কি তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) মনে হচ্ছে এক লক্ষের চেয়ে ২০০ কোটি কম?” সেই সঙ্গে সুকান্তর কটাক্ষ, “এটাকে কি মুখ্যমন্ত্রী চুরি বলে মনে করেন না কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো এঁরও পাশে দাঁড়াবেন?”
এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার রাস্তায় নামে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চা। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁয়ের নেতৃত্বে ধর্মতলা মোড়ে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেন, “আগে বিজেপি শুভেন্দু’র বিষয়ে কী ব্যবস্থা হয়েছে বলুক। বিজেপি নিজেদের দলীয় কার্যালয় থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে শুভেন্দু’র কাগজে মুড়ে টাকা নেওয়ার ভিডিয়ো দেখিয়েছিল। সিবিআই এফআইআর করেছিল। ওঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা হয়েছে? আগে নিজেদেরটা দেখুন, অন্যকে নিয়ে না ভাবলেও চলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy