জগদীপ ধনখড় ও শেখ সুফিয়ান।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নন্দীগ্রাম সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের কথায়, “উনি আসছেন আসুন। রাজ্য নেতৃত্ব ওঁকে নিয়ে যা বলার বলেছেন। আমরা এটা নিয়ে বেশি ভাবছি না। এটাকে গুরুত্বও দিতে চাইছি না।”
শনিবার কপ্টারে চেপে আসবেন জগদীপ ধনকড়। এর আগে বৃহস্পতিবার কোচবিহারের মাথাভাঙা, সিতাই, শীতলখুচি, দিনহাটা সফরে যান তিনি। শুক্রবার যান অসমের ‘আশ্রয় শিবিরে’। শনিবার যাচ্ছেন নন্দীগ্রাম। রাজ্যপালের এই সফর নন্দীগ্রামের কর্মী-সমর্থকদের সাহস জোগাবে বলে মনে করছেন বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল। তিনি বলেন, ‘‘এলাকার বহু মানুষের বাড়িঘর লুঠপাট হয়েছে। শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের পর রাজ্যপাল নন্দীগ্রামে আসছেন এতে এলাকার মানুষ মনে সাহস পাবেন।”
উল্টো দিকে সুফিয়ানের দাবি, মিথ্যে অভিযোগ করে চলেছে বিজেপি। রাজ্যপাল প্রচার চাইছেন এবং বিজেপি-র হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সুফিয়ান বলেন, ‘‘রাজ্যপাল এলেও তৃণমূলের কেউ ওঁর দিকে ঘুরেও তাকাবে না। খামোকা ওঁকে প্রচারের কেন্দ্রে আসার সুযোগ দিতে রাজি নই আমরা।’’
প্রায় ১৪ বছর পর নন্দীগ্রামে পা রাখতে চলেছেন কোনও রাজ্যপাল। এর আগে ২০০৭ সালের ২ ডিসেম্বর জমি আন্দোলন পর্বে নন্দীগ্রামের এসেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী। এ বার যাচ্ছেন ধনখড়। নিজেই এই সফর নিয়ে টুইট করেছেন ধনখড়। শনিবার সকাল ৯টা ৪০ নাগাদ নন্দীগ্রামের হরিপুরে পৌঁছনোর পর সড়ক পথে বিভিন্ন এলাকায় যাবেন তিনি। যাবেন দক্ষিণ কেন্দেমারি, বঙ্কিম মোড়, চিল্লগ্রাম, নন্দীগ্রাম বাজার, টাউন ক্লাব-সহ আশেপাশের এলাকায়। তার পর জানকিনাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি দুপুর ১২টা ১৫ নাগাদ নন্দীগ্রাম ছাড়বেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy