Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

পুর-জট কাটাতে আসরে সুব্রত, ফের তলব কলকাতায়

২৮ অগস্ট তৃণমূলের ২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৫ জনই পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৩৮
Share: Save:

বিফলে গিয়েছে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হস্তক্ষেপ। ইংরেজবাজার পুরসভার জট কাটাতে এবার তাই আসরে নামছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সি। ফলে বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের আবার কলকাতায় তলব। পুরসভার জট শেষপর্যন্ত কাটবে বলে আশাবাদী দলের যুযুধান দুই শিবিরই।

২৮ অগস্ট তৃণমূলের ২৫ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ১৫ জনই পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। দলীয় পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই কাউন্সিলরেরা অনাস্থা আনায় অস্বস্তিতে পড়ে যান তৃণমূল নেতৃত্ব। মৌসম নুরও জেলা পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানি বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর ও পুরপ্রধানকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে বরফ গলানোর চেষ্টা করেন। তবে তাতে বিদ্রোহ না থামায় ২ সেপ্টেম্বর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ দু’পক্ষকে নিয়ে কলকাতায় বৈঠক করেন। সেখানে তিনি অনাস্থা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। কিন্তু তার পরেও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। অনাস্থা তোলেননি বিক্ষুব্ধেরা। এমনকি, অনাস্থা প্রত্যাহার করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলর তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। বিক্ষুব্ধদের একাংশ জানিয়েছেন, অনাস্থা আনার ১৫ দিনের মধ্যে পুরপ্রধানকে আস্থা ভোট করাতে হয়। সেক্ষেত্রে সময়ের মধ্যে পুরপ্রধান আস্থা ভোটে যাননি। এমন অবস্থায় উপ-পুরপ্রধানকে সাতদিনের মধ্যে বৈঠক ডাকতে হবে। উপ-পুরপ্রধান দুলাল সরকার বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা করে বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। এমনকি, বৈঠকের চিঠিও লেখা হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধদেরই একাংশ।

যদিও শেষ পর্যন্ত বৈঠক ডাকেননি দুলাল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুলালকে ফোন করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত। তিনি বিক্ষুব্ধদের ফের কলকাতায় তলব করেন। এমনকি, দু’পক্ষকে নিয়ে বসে আলোচনা করারও কথা জানান সুব্রত। শনিবার দুলাল বলেন, “সুব্রতদা আমাদের কলকাতায় ডেকেছেন। আমরা সকলে কলকাতায় যাব। দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলরদের অভাব-অভিযোগ দলীয় স্তরে শুনবেন তিনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করলে সমস্যা মিটবে বলে আমরা আশাবাদী।” নীহার বলেন, “আমি আগেই বলেছি, দল আমাকে চেয়ারে বসিয়েছে। দল যা বলবে তা সবসময়েই মেনে নেব।”

তৃণমূলের একাংশের দাবি, সামনে পুরভোট রয়েছে। এছাড়া, এবারের লোকসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার পুরসভা এলাকায় বড় রকমের লিড পেয়েছে বিজেপি। এমন অবস্থায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ডামাডোল পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে পারে বিরোধীরা। তাই ইংরেজবাজার পুরসভার অনাস্থার জট কাটাতে তৎপর তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মৌসম বলেন, “পুরসভার বিষয়টি আলোচনার স্তরে রয়েছে। আশা করছি, আলোচনা করে সমস্যা মেটানো হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Subrata Bakshi TMC Ingraj Bazar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy