রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা নজরদারি চালাচ্ছিলেন তাঁর দিল্লির বাড়িতে। বুধবার এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা তাঁর বাড়িতে পৌঁছনোর প্রাক্মুহূর্তে ওই দুই গোয়েন্দা ধরা পড়ে যান বলেও দাবি করেছেন তিনি। সুভাষের এ হেন অভিযোগ আগে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করে তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কটাক্ষও করেছে জোড়াফুল শিবির।
বুধবার আসানসোলে এসেছিলেন সুভাষ। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে, তাঁর দিল্লির বাড়িতে কয়েক জন সাংসদের যাওয়ার ঠিক আগে ভিডিয়োগ্রাফি করছিলেন ২ জন। তাঁর দাবি, ‘‘তাঁদের পাকড়াও করে দেখা যায় যে ওঁদের কাছে যে পরিচয়পত্র রয়েছে তা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের। খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমরা ওঁদের এলাকার পুলিশের হাতে তুলে দিই।’’ সুভাষের দাবি, ওই ২ জনকে দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে তাঁরা ‘সহ্যশক্তি’র পরিচয় দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা তাঁদের পেটাইনি। কোনও লিখিত অভিযোগও করিনি।’’ তাঁর পরামর্শ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশেরও সহ্যশক্তি শেখা দরকার।’’ এই সূত্রেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগ্রাসী। এরা এক জন মন্ত্রীর বাড়িতেও ভিডিয়োগ্রাফি করার সাহস পায়।’’
আরও পড়ুন:
-
‘মধ্যযুগের ইতিহাসে ঠাসা’ বাংলার বল্লাল ঢিবি ‘উধাও’ কেন্দ্রীয় রিপোর্টে! চর্চা শুরু নদিয়ায়
-
পন্থকে দেহরাদূন থেকে মুম্বই নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবারের নয়, কে করলেন এত বড় পদক্ষেপ?
-
ট্রেনের শিশা ভাঙল বলে..., বাংলা কি ‘ভাল’ পাওয়ার যোগ্যতা হারাচ্ছে? প্রশ্ন উঠছে বন্দে ভারত-কাণ্ডে
-
দিল্লির জঙ্গলে খুঁজে পাওয়া হাড়গোড় এবং চুল শ্রদ্ধারই, জানাল ডিএনএ রিপোর্ট
বিষয়টিকে আমল দিচ্ছে না তৃণমূল। এ নিয়ে বিধায়ক তথা তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায়ের মন্তব্য, ‘‘সব কিছুর মধ্যেই ওঁরা তৃণমূলের চক্রান্ত দেখতে পান। সত্যিই ওখানে নজরদারি চলছিল কি না সেটা আগে নিশ্চিত হোক। বিজেপির বন্ধুদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক বা অন্তর্দলীয় কিছু হলেও তাঁরা তৃণমূলের হাত দেখতে পান।’’