কলেজের প্রিন্সিপালকে ঘেরাও। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় দু’বছর পর মঙ্গলবার খুলেছে কলেজ। রাজ্য জুড়ে স্কুল-কলেজ খোলা নিয়ে উৎসাহের মধ্যে ধরা পড়ল বিপরীত ছবিও। কলেজে পরিকাঠামোর অভাবের অভিযোগ তুলে প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করে রাখলেন পড়ুয়ারা। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের হিজলি কলেজে। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরে ওই ঘেরাও উঠে যায়।
হিজলি কলেজের প্রিন্সিপালের অভিযোগ, কলেজ রং করা হয়নি। এ ছাড়া কলেজে পানীয় জল এবং শৌচাগারের সমস্যা রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার কলেজ খুলতেই পরিকাঠামোর দাবিতে হিজলি কলেজের প্রিন্সিপাল আশিসকুমার দণ্ডপাটকে ঘেরাও করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)। টিএমসিপি-র হিজলি কলেজের ইউনিট সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কলেজে আগে যা যা সমস্যা ছিল এখনও তাই রয়েছে। রং করা হয়নি। কলেজের শৌচাগারের সমস্যা রয়েছে। এ ছাড়া পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে। কলেজে সিসি ক্যামেরাও বসানো হয়নি। আমরা এ সবের দাবিতে প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করেছি।’’
ঘণ্টা দুয়েক পর অবশ্য কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ঘেরাও উঠে যায়। কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কলেজ খুলেছে। আমরা কোভিড বিধি মেনে কলেজ চালাচ্ছি। কয়েকটি বিষয়ে পড়ুয়ারা দাবি জানিয়েছে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা পূরণের চেষ্টা করব।’’
আবার বাঁকুড়ার সোনামুখী কলেজে দেখা গিয়েছে অন্য ছবি। ওই কলেজে টিএমসিপি-র সোনামুখী ব্লকের সভাপতি অতনু দুয়ারি এবং ইউনিট সভাপতি আকাশ আকুড়ে ঢুকতেই তাঁদের ধরে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ওই ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের একাংশ। আকাশের জামার কলার ধরে টানাটানি করার পর ঘাড়ধাক্কা দিয়ে কলেজ থেকে বার করে দেওয়া হয়। টিএমসিপি-র কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, কলেজ বন্ধ থাকাকালীন অতনু কোনও পড়ুয়ার পাশে ছিলেন না। ওই কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া তথা টিএমসিপি কর্মী সায়ন দত্ত বলেন, ‘‘আমাদের কলেজে ভর্তির পর প্রায় দেড় বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু কোনও দিন অতনু দুয়ারিকে আমরা দেখিনি। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশেও তিনি দাঁড়াননি। আমরা তাঁকে ব্লক সভাপতি পদে দেখতে চাই না। সে জন্যই আজ তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।’’
হেনস্থার মুখে পড়ে অতনু দুয়ারি বলেন, “দলের জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী আজ সোনামুখী কলেজে নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য গিয়েছিলাম। সে সময় সামান্য বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বিষয়টি আমরা জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। দলীয় ভাবে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে। আমার বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ অসত্য।’’ টিএমসিপি-র বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তীর্থঙ্কর কুন্ডু বলেন, “আপাতত দু’পক্ষকেই কলেজে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। তাঁরা যে নির্দেশ দেবেন সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’
আবার মঙ্গলবার আরামবাগ নেতাজি মহাবিদ্যালয়ে ভিন্ন ছবি ধরা পড়েছে। কলেজ ঢোকার আগে পড়ুয়াদের থেকে করোনার টিকা নেওয়ার শংসাপত্র দেখতে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। না দেখাতে পারায় অনেককে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা। এ বিষয়ে কলেজের প্রিন্সিপাল অসীম কুমার দে বলেন, ‘‘কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রীর গাফিলতির কারণে সমস্যা হয়েছে। তবে বিষয়টি নজরে এসেছে। দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা চলছে।’’ পড়ুয়ারা যাতে কলেজে ক্লাস করতে পারেন সে জন্য প্রশাসন পদক্ষেপ করুক এমনটা চাইছেন অভিভাবকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy