—ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষণার পরে ১০ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে থাকতে বলেছিল কোর্ট। আজ, শনিবার সেই সময়সীমা শেষ হবে। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে বাহিনী থাকায় বন্ধ রয়েছে পড়াশোনা। পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় আরও কিছু দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এ রাজ্যে রাখা যায় কি না, এ বারে সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে সিদ্ধান্ত নিতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট।
পঞ্চায়েত ভোট-হিংসার মামলার অন্যতম আবেদনকারী বিজেপির আইনজীবী-নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল শুক্রবার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে আরও কিছু দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আর্জি জানান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার কেন্দ্রকে দিয়েছে কোর্ট। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
এ দিন কোর্টে প্রিয়ঙ্কার দাবি, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস এখনও অব্যাহত। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে সমস্যা বাড়বে। তাই আরও চার সপ্তাহ কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আর্জি জানান তিনি। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন তিনি। এ দিন ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে ১০ দিন বাহিনী রাখতে বলা হয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষের মুখে সব পক্ষের বক্তব্য না শুনে কোনও নির্দেশ দেওয়া যাবে না। তাই প্রিয়ঙ্কার আবেদন বিবেচনার ভার কেন্দ্রের উপরেই ছাড়া হচ্ছে।
ভোটের গোড়া থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নানা টালবাহানা হয়েছে। শেষমেশ বাহিনী এলেও ভোটের দিন সিংহভাগ এলাকায় তা কাজে লাগানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। ভোট এবং গণনার দিন যে হিংসা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে শেষমেশ হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের অফিসারদের নিয়ে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করে। গণনা থেকে ১০ দিন পর্যন্ত সেই বাহিনী রাখার কথাও বলা হয়েছিল।
তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার ফলে বহু স্কুলে এখনও পঠনপাঠন শুরু করা যায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ, ওই স্কুলগুলিতেই বাহিনীর শিবির করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওই স্কুলগুলি থেকে বাহিনীর শিবির সরিয়ে স্বাভাবিক পঠনপাঠন শুরু করার দাবি তুলেছে ছাত্র সংগঠন ডিএসও। আগামী ১ অগস্ট থেকে সরকারি স্কুলে দ্বিতীয় পর্যাক্রমিক মুল্যায়ন শুরু হওয়ার কথা। শিক্ষকদের অভিযোগ, বাহিনী থাকার ফলে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের জন্য নির্দিষ্ট পাঠ্যক্রম শেষ করা যায়নি।
শিক্ষকদের দাবি, শনিবারে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে, সোমবার থেকে স্কুল খুললেও সেই পাঠ্যক্রম শেষ হবে না। তাই ইতিমধ্যেই সেই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জমা পড়েছে শিক্ষা দফতরে। এখন যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী আরও কিছু দিন থেকে যায়, তা হলে পড়ুয়ারা ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়বে বলে শিক্ষকদের আশঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy