Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
State News

মারণ গেম ‘মোমো’ এ বার দাসপুরে, বরাত জোরে ফিরল স্কুলপড়ুয়া

ছাত্রের পরিবার সূত্রে খবর, প্রথমে আসে লুডো গেম। সেই পর্ব শেষও করে ফেলে সে। এর পর ফেসবুকে এক রহস্যময় স্টেটাস দেওয়ার নির্দেশিকা আসে ওই গেমের মাধ্যমে। তাতেই সন্দেহ হয় ওই ছাত্রের। তার পরেই গেম ডিলিট করে দেয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৮ ১৯:৪৫
Share: Save:

মারণ অনলাইন গেম ‘মোমো’র হানা এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে। দশম শ্রেণির এক ছাত্রের হোয়াটসঅ্যাপে এই গেম আসার পর খেলতেও শুরু করে বলে দাবি। তবে একটি পর্ব পার করার পর সন্দেহ হওয়ায় ভয়ে পরিবারের লোকজনকে জানায়। বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রের বাবা-মা তাকে থানায় নিয়ে যান কাউন্সেলিংয়ের জন্য।

জলপাইগুড়ির পর এবার দাসপুর। অনলাইন গেম ‘মোমো’র কবলে পড়েও ফিরে এল দাসপুরের তেঁতুলতলার বাসিন্দা স্থানীয় চাঁইপাট স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। সম্প্রতি তার মোবাইলে মারণ অনলাইন গেম ‘মোমো’র লিঙ্ক আসে বলে অভিযোগ। সেই লিঙ্ক পেয়ে গেম ডাউনলোড করে খেলতেও শুরু করে সে।

ছাত্রের পরিবার সূত্রে খবর, প্রথমে আসে লুডো গেম। সেই পর্ব শেষও করে ফেলে সে। এর পর ফেসবুকে এক রহস্যময় স্টেটাস দেওয়ার নির্দেশিকা আসে ওই গেমের মাধ্যমে। তাতেই সন্দেহ হয় ওই ছাত্রের। তার পরেই গেম ডিলিট করে দেয়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, গেম ডিলিট করার পর ফোন রিস্টার্ট করা হলে ফের আপনা আপনি ফের ওই গেম ইনস্টল হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: দেওয়ালে সাঙ্কেতিক ভাষা, পাশে ঝুলছে দেহ, রাজ্যে মারণ গেমের বলি ছাত্র!

এর পর শুরু হয় ফোন। বার বার ফোন করা হয় একটি অচেনা নম্বর থেকে। তবে আতঙ্কিত হয়ে ওই ছাত্র আর ফোন ধরেনি। গোটা এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সে। বাবা-মাকে গোটা বিষয়টি জানায়। তাঁরাই বৃহস্পতিবার কাউন্সেলিংয়ের জন্য থানায় নিয়ে যান। তবে পুলিশ কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি ওই গেমের লিঙ্কের উৎস সন্ধানে তদন্তও শুরু করেছে।

আরও পডু়ন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁদ, সহবাসের পর ভিডিয়ো করে ব্ল্যাকমেল, নির্যাতন সোনারপুরে

কয়েকদিন আগেই মা ও দিদির সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় জলপাইগুড়ির এক ছাত্রী হোয়াটস অ্যাপে স্টেটাস দেয়, ‘আমি মরে যাব’।তারপরই তার মোবাইলে মোমো গেমের লিঙ্ক চলে আসে। যদিও ভয়ে বাড়ি এবং স্কুলে জানিয়ে দেয় ওই ছাত্রী।ফলে সেই গেম খেলা শুরু করেনি ওই ছাত্রী। এবার দাসপুরেও সেই ‘মোমো’র হানা। এবং এই ছাত্র গেম খেলতে শুরু করে দেওয়ায় আতঙ্ক বাড়ছে। উদ্বেগের পারদ চড়ছে পুলিশ-প্রশাসন মহলেও।

মোমো তদন্তে প্রীতম সাহা নামে এক পড়ুয়াকে জেরা করল জলপাইগুড়ি পুলিশ। সে জলপাইগুড়ি আনন্দচন্দ্র কলেজের ছাত্র। জেরায় সে জানিয়েছে, একটি আমেরিকার নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ চালু করে। সেই নম্বর থেকে কবিতাকে মজার ছলেই মোমো মেসেজ পাঠায়। এমনটাই জানিয়েছেন জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE