প্রতীকী ছবি।
বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা বৃহস্পতিবারের সাধারণ ধর্মঘটের প্রভাব পড়ল রাজ্যের চটশিল্পে। বীরভূমের পাথরশিল্পেও শ্রমিক-হাজিরা কম ছিল। তার বাইরে দু’-একটি জেলায় কিছু কারখানা বন্ধ ছিল। কিন্তু ধর্মঘটের তেমন প্রভাব চোখে পড়েনি বেশির ভাগ জেলার শিল্পক্ষেত্রেই।
উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের চটকলগুলি খোলা থাকলেও শ্রমিক উপস্থিতি এতটাই কম ছিল, যে বেলার দিকে সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েকটি চটকল আগে থেকেই বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা ছিল। সেগুলি এ দিন খোলেনি। হুগলিতে অধিকাংশ চটকল ছিল বন্ধ। হাওড়ায় ১৩টি চটকল খোলা ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ শ্রমিক কাজে যোগ দেননি।
সিটু সমর্থিত ‘বেঙ্গল চটকল মজদুর ইউনিয়ন’-এর সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহুর দাবি, চটশিল্পে ধর্মঘট একশো শতাংশ সফল। চটশিল্পে যে এ দিন উৎপাদন প্রায় হয়নি, তা মেনেছেন চটকল মালিকদের সংগঠন আইজেএমএ-র চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্তও। হলদিয়া রিফাইনারি ও হলদিয়া বন্দরে উপস্থিতির হার ছিল স্বাভাবিক। এ দিন হলদিয়া বন্দর থেকে তিনটি জাহাজ ছেড়েছে, দু’টি জাহাজ বন্দরে ঢুকেছে। মোট ১৩টি জাহাজে মাল ওঠানো-নামানোর কাজ হয়েছে। উত্তরবঙ্গের চা বাগানে ধর্মঘটের প্রভাব তেমন ছিল না। তবে যে গুটিকয়েক বাগানে কাজ বন্ধ হয়, তৃণমূলের জলপাইগুড়ির জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর বাগান তাদের অন্যতম।
ইসিএলের সিএমডির কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় জানান, পশ্চিমবঙ্গের কয়লাখনিগুলিতে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি। প্রভাব প্রায় ছিল না পশ্চিম বর্ধমান, কোচবিহার, পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার শিল্পাঞ্চলেও। বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে এ দিন স্বাভাবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। ঠিকঠাক কাজকর্ম হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের চালকলগুলিতেও।
জামুড়িয়ার খাসকেন্দায় ইসিএলের একটি ডাম্পারের কাচ ধর্মঘট-সমর্থকেরা ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, হুগলির বৈদ্যবাটিতে লোহার যন্ত্রাংশ তৈরির একটি কারখানায় শ্রমিকদের ঢুকতে বাধা দেন ধর্মঘট সমর্থকেরা। বীরভূ মের শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে ঘণ্টাখানেক পথ অবরোধ করে সিপিএম। শিলিগুড়ির কাছে ডাবগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের বেশির ভাগ কারখানা বন্ধ ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy