কোভিড নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ফাইল ছবি।
রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দশের নীচে থাকলেও হাফ ছেড়ে বাঁচার উপায় নেই। চিনে যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আশঙ্কা, যে কোনও সময় ভারতে তথা বাংলায় ভেলকি দেখানো শুরু করতে পারে করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে। রাজ্যও অতিসক্রিয় হয়েছে এ বিষয়ে। ভাইরাসের নতুন কোনও রূপ ঘাপটি মেরে রয়েছে কি না তা খোঁজার নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
সামনেই উৎসবের মরসুম। বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে কয়েক দিন পরেই ভিড় বাড়বে রাস্তা-রেস্তরাঁয়। এই পরিস্থিতিতে কোভিড নিয়ে উদ্বেগের আবহে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে করোনা নজরদারি কমিটি গড়েছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম ওই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন। এর পর বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতর নির্দেশিকা জারি করে করোনা পরীক্ষার ল্যাবরেটরিগুলিকে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপর জোর দিতে বলল।
কাজের সুবিধার জন্যই কোভিড পরীক্ষার ল্যাবরেটরিগুলিকে কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলিকে ‘ডিপো সেন্টার’ বলা হয়। স্বাস্থ্যভবনের নির্দেশ, বিভিন্ন ল্যাব থেকে ডিপো সেন্টারে একত্রিত হওয়া নমুনা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠাতে হবে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এসটিএম)-এ। যেমন, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে কোভিড পরীক্ষার পর আক্রান্তদের নমুনা পাঠিয়ে দিতে হবে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে তা এসটিএমে পাঠাতে হবে। অন্য দিকে, সংগৃহীত নমুনা সরাসরিই এসটিএমে পাঠিয়ে দেবে শহরের আরজি কর এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ।
ল্যাবগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, গত এক মাসে যাঁদের শরীরে কোভিড ধরা পড়েছে, তাঁদের সিটি ভ্যালু যা-ই হোক না কেন, নমুনা আগামী সোমবারের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ‘ডিপো সেন্টার’-এ পাঠাতে হবে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ডিপো সেন্টার থেকে সেই সব নমুনা এসটিএমে পৌঁছে দিতে হবে। আরও নির্দেশ, কোনও ল্যাবে পাঁচ জনের শরীরে কোভিড ধরা পড়লেই ডিপো সেন্টারে পাঠাতে হবে তাঁদের নমুনা। আর এক মাসের মধ্যে সংখ্যাটা যদি পাঁচ জনের কম হয়, তা হলেও পাঠাতে হবে মাসের শেষে।
চিনে এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ওমিক্রনের এক উপরূপ ‘বিএফ.৭’। বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, শীঘ্রই ‘করোনা বিস্ফোরণ’ আছড়ে পড়তে পারে পড়শি দেশে। গত অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত গুজরাতের দু’টি এবং ওড়িশার একটি নমুনায় ওই উপরূপের হদিস মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। তারাও জানিয়েছে, জাপান, আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজ়িল এবং চিনে সম্প্রতি যে ভাবে কোভিড বাড়ছে, তাতে সংক্রমিতদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে বিশেষ জোর দেওয়া দরকার। সংক্রমণ রোখার পাশাপাশি ভাইরাসের রূপগুলি কী ভাবে চরিত্র পাল্টাচ্ছে, তা নজরে রাখা অত্যন্ত জরুরি। তার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবারের এই নির্দেশিকা বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy