কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জোড়া মামলা রাজ্যের। একটি মামলা সিট গঠনকে কেন্দ্র করে। অন্যটি, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব নিয়ে। আগামী সোমবার দু’টি মামলার শুনানি।
গত এপ্রিল মাসে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযোগ, ওই ছাত্রীর দেহ পুলিশ প্রকাশ্যে টানতে টানতে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পরে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগও ওঠে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় থানায়। ছাত্রীর মৃত্যুর এই ঘটনায় সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই বিশেষ তদন্তকারী দলে ছিলেন বর্তমান আইপিএস দময়ন্তী সেন এবং দুই প্রাক্তন আইপিএস উপেন বিশ্বাস ও পঙ্কজ দত্ত। ঘটনাচক্রে, এই তিন জনেরই কোনও না কোনও সময়ে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ইতিহাস রয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছিল, ইচ্ছে করেই কি কালিয়াগঞ্জের ঘটনার তদন্তে এঁদের নিয়োগ করা হল। এই সিটকে সাহায্য না করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপুলিশের বিরুদ্ধে। যা শুনে বৃহস্পতিবার অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি মান্থা। বৃহস্পতিবার বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সিটকে পুলিশ সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে বলতে হচ্ছে, রাজ্য নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনছে। সিট যাতে কাজ করতে না পারে সেই চেষ্টা করছে রাজ্য। এ বার কি সিবিআইকে তদন্তভার দিলে ভাল হবে?’’
আরও পড়ুন:
এই ধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি মান্থা। তিনি জানিয়েছিলেন, এই বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা বিস্তারিত ভাবে আদালতকে জানাতে হবে। ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে বলে নির্দেশও দিয়েছিল হাই কোর্ট।
বিচারপতি মান্থার এই দুই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাই কোর্টে জোড়া মামলা করল রাজ্য সরকার।