কালিয়াগঞ্জ-কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা রুজু করার আবেদন করে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। ছবি: সংগৃহীত।
কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের দাবি উঠল। এই মর্মে সোমবার জনস্বার্থ মামলা রুজু করার জন্য কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করেছেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তাতে সাড়া দিয়েছে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত সূত্রে খবর, কালিয়াগঞ্জ-কাণ্ডে সোমবার হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর। হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে তাঁর আবেদন, ওই মামলায় সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হোক। ওই কিশোরী ছাত্রীর পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা রুজুর অনুমতি দিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার গঙ্গোয়ার পালইবাড়ি এলাকায় শুক্রবার সকালে এক কিশোরীর দেহ উদ্ধারের পর অভিযোগ ওঠে, ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করেছেন পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক যুবক ও তাঁর ৪-৫ জন সঙ্গী। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে মৃতার দেহ নিয়ে রাজ্য সড়কে অবরোধ, বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা ছাড়াও কাঁদানে গ্যাস ছড়িয়েছে পুলিশ। অন্য দিকে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। অবরোধকারীরা দাবি করেছিলেন, কিশোরীর দেহ পরিবারের কাউকে না দিয়ে প্রমাণ লোপাটের জন্য জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় পুলিশ।
এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই শনিবার রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়কে চিঠি লেখেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের নিশ্চিত করতে ওই পুলিশকর্তাকে চিঠিতে লিখেছে কমিশন। পাশাপাশি, পুলিশি পদক্ষেপের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তিন দিনের মধ্যে রাজ্য পুলিশকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy