কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনার তদন্তে সিট গড়ল কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনার মামলায় সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বৃহস্পতিবার ওই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন। রাজ্য পুলিশের আধিকারিক দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত এবং প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে সিটে রেখেছেন তিনি। এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ— ‘‘প্রচণ্ড চাপের মুখে কাজ করতে পারছে না পুলিশ। তাই এই সিট গঠন।’’
বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, আদালতের নজরদারিতে হবে তদন্ত। তদন্ত করবে সিট। প্রয়োজন মনে করলে দ্বিতীয় ময়না তদন্ত করতে পারবে সিট। তিনি জানান, এই মামলার তদন্ত চলাকালীন বাইরে নিজেদের মত প্রকাশ করবেন না সিটের সদস্যরা। পাশাপাশি, হাই কোর্টের নির্দেশ, কেস ডায়েরি এবং অন্যান্য নথি সিটকে দেবে রাজ্য পুলিশ। তদন্তে রাজ্যকে সাহায্য করতে হবে। পরবর্তী শুনানির আগে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য।
নিহত ছাত্রীর পরিবারের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যও রাজ্য পুলিশে নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্থা। প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার গঙ্গোয়ার পালইবাড়ি এলাকায় ওই নাবালিকার দেহ দেখা যায়। অভিযোগ ওঠে, ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করেছেন পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক যুবক ও তাঁর ৪-৫ জন সঙ্গী। অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে নিহত ছাত্রীর দেহ নিয়ে রাজ্য সড়কে অবরোধ, বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
অভিযোগ, কিশোরীর দেহ পরিবারের কাউকে না দিয়ে প্রমাণ লোপাটের জন্য জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় পুলিশ। নিয়ে যাওয়ার সময় মৃতদেহের প্রতি অসম্মান প্রদর্শনের অভিযোগও ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল নিহত নাবালিকার পরিবার। সেই মামলাতেই এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy