পাইপে জোগানো গ্যাসের ক্ষেত্রে শুল্কের হার ঠিক করা নিয়ে নতুন নীতি চালু করতে চায় নিয়ন্ত্রক ‘পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস রেগুলেটরি বোর্ড’ (পিএনজিআরবি)। পাশাপাশি সিএনজি এবং পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি রান্নার জন্য সরবরাহ করা প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমানোও লক্ষ্য তাদের। এর জন্য যে সব সংস্থা ওই পরিষেবা পরিচালনা করে, তাদের শুল্ক সব থেকে কম রাখতে চায় নিয়ন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের বিবেচনার জন্য এ ব্যাপারে তৈরি খসড়া নীতি প্রকাশ করেছে পিএনজিআরবি।
এ দিকে, সোমবার কেন্দ্র জানিয়েছে গাড়ি এবং গৃহস্থ বাড়িতে জোগানো প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) দাম বাড়ানো হচ্ছে ১ এপ্রিল থেকে। এই গ্যাসের দাম সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। এত দিন এর প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটের দাম ছিল ৬.৫০ ডলার। তা বেড়ে হচ্ছে ৬.৭৫ ডলার। গত দু’বছরের মধ্যে এই প্রথম সরকার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল। এই সিদ্ধান্তের ফলে খুচরো ক্ষেত্রে সিএনজির দাম খানিকটা বাড়বে। উল্লেখ্য, এখনও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। ২০২৭-এর পর তা বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঠিক যে ভাবে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বাজার-নির্ভর করে দেওয়া হয়েছে।
যে সব লক্ষ্যে পাইপের গ্যাসের নীতি বদলাচ্ছে, তার অন্যতম এ ভাবে জোগানো গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানো। এ জন্য পাইপলাইনে গ্যাস পরিবহণে লগ্নি টানতে চায় পিএনজিআরবি। যে কারণে শহরে দাম কমানোও উদ্দেশ্য। তারা মনে করে, এর সম্ভাবনা বিপুল।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)