নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের সব থানাতেই এখন পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম। মহিলা থানাও তার বাইরে নয়। নতুন করে সব বিভাগে পুলিশকর্মী নিয়োগের কাজ চলছে। সেই কাজ দ্রুত শেষ হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনে ব্যাটেলিয়ন থেকে মহিলা পুলিশকর্মী নিয়ে থানাগুলিতে দেওয়া হবে।
ফাইল চিত্র।
রাজ্যে এখন মহিলা থানা আছে ৪০টি। কিন্তু অপরাধ, বিশেষত মহিলাঘটিত দুষ্কর্ম বন্ধ হচ্ছে না। এই অবস্থায় ধর্ষণ-সহ মহিলাদের উপরে সংগঠিত অপরাধ ঠেকাতে এবং তার কিনারা করতে আরও ২০টি নতুন মহিলা থানা গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। প্রতিটি মহকুমায় একটি করে মহিলা থানা বানাতে চাইছে নবান্ন।
পুলিশি সূত্রের খবর, বাড়তি মহিলা থানা দু’দফায় গড়ার করার কথা ভাবা হয়েছে। যে-সব নতুন পুলিশ-জেলার অধীনে এখন মহিলা থানা নেই, এ ক্ষেত্রে সেগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, যে-সব মহকুমায় মহিলা থানা নেই, জেলা পুলিশের কাছ থেকে সেগুলির তালিকা চাওয়া হয়েছে।
রাজ্যে শেষ মহিলা থানা তৈরি হয়েছে কয়েক বছর আগে। করোনা এবং অন্যান্য কারণে পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফায় মহিলা থানা গড়ার কাজ হয়নি। তাই অতিমারি পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই মহিলা থানা নির্মাণের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশি সূত্রের খবর। থানাগুলিতে ইনস্পেক্টর থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সব স্তরেরই মহিলা পুলিশকর্মী থাকবেন।
মহিলাদের বিরুদ্ধে সংগঠিত অপরাধের ঘটনার তদন্ত করে মহিলা থানাগুলিই। রাজ্যে প্রথম মহিলা থানা তৈরি হয় ২০১২ সালে, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে। নতুন করে দু’দফায় আরও মহিলা থানা গড়া হলেও বাহিনীতে মহিলা পুলিশকর্মীর সংখ্যা সে-ভাবে বাড়েনি। বর্তমানে রাজ্য পুলিশে মহিলা কর্মীর সংখ্যা ন’হাজারের কাছাকাছি। তাঁদের মধ্যে মহিলা ইনস্পেক্টর রয়েছেন মাত্র ২৩ জন। সাব-ইনস্পেক্টরের সংখ্যা ৩৭০। মহিলা কনস্টেবল আছেন সাড়ে আট হাজারের মতো। এ ছাড়া রাজ্যের হাতে রয়েছে দু’হাজারের বেশি মহিলা হোমগার্ড এবং এনভিএফ কর্মী।
রাজ্য সরকারের হিসেব অনুযায়ী প্রতিটি মহিলা থানায় এক জন ইনস্পেক্টর, আট জন সাব-ইনস্পেক্টর (এসআই), আট জন এএসআই এবং ৩০ জন কনস্টেবল থাকার কথা। এমনিতে প্রতিটি থানায় মহিলা এসআই ও এএসআই দেওয়ার কথা বলা হলেও কার্যক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিটি মহিলা থানায় হাতে গোনা অফিসার এবং কর্মী আছেন। তাই নতুন থানা তৈরি করলে দরকার আরও মহিলা পুলিশকর্মীর।
নবান্ন সূত্রের খবর, রাজ্যের সব থানাতেই এখন পুলিশকর্মীর সংখ্যা কম। মহিলা থানাও তার বাইরে নয়। নতুন করে সব বিভাগে পুলিশকর্মী নিয়োগের কাজ চলছে। সেই কাজ দ্রুত শেষ হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনে ব্যাটেলিয়ন থেকে মহিলা পুলিশকর্মী নিয়ে থানাগুলিতে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy